স্বদেশবাণী ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় গার্মেন্টসকর্মী দুই তরুণীর শরীরে এসিড নিক্ষেপ করেছে এক বখাটে। এসময় স্থানীয় লোকজন দুই তরুণীকে উদ্ধার করে শহরের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাদের মধ্যে গার্মেন্টসকর্মী রেশমা আক্তার সাফিয়ার (১৮) পিঠ হতে নিতম্ব পর্যন্ত ও তার বান্ধবী স্বপ্নার (১৮) ডান হাতের কনুইয়ের চামড়া ঝলসে গেছে।
শনিবার রাত ৯টায় গার্মেন্টস থেকে বাসায় ফেরার পথে ফতুল্লার শাসনগাঁও এলাকায় এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে মেহেদী হাসান নামে ওই বখাটে যুবককে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত মেহেদী হাসান (১৮) লালমনিরহাট সদরের শহীদ শাহজাহান কলোনির মৃত. মাহবুবুর হোসেনের ছেলে। সে ফতুল্লার শাসনগাঁও এলাকার নাছিরের বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করে।
পুলিশ জানায়, রেশমা আক্তার সাফিয়ার গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাট সদরের ১নং ফুল ছড়া গ্রামে আর বখাটে মেহেদী হাসানের বাড়ি তার পাশের গ্রাম শহীদ শাহজানার কলোনিতে। ফতুল্লায়ও তারা পাশাপাশি বাড়িতে বসবাস করেন। এ পরিচয়ে সাফিয়াকে মেহেদী হাসান প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সাফিয়া তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেহেদী এসিড জাতীয় দাহ পদার্থ সাফিয়ার মুখে ছুড়ে মারে। এসময় সাফিয়া ঘুরে দাঁড়ানোয় তার পিছন দিকে পিঠে দাহ পদার্থ লাগে এবং তার বান্ধবী স্বপ্না পাশে থাকায় তার কনুইয়ে লেগে ঝলসে যায়। এ ঘটনায় সাফিয়ার বাবা সোলেমান বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়ে দ্রুত অভিযান চালিয়ে মেহেদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর কি ধরনের দাহ পদার্থ ছুড়ে মেরেছে তার পরীক্ষা চলছে।