বঙ্গবন্ধু ফিরে না আসলে স্বাধীনতা হুমকীর মুখে পড়তো: আমু

রাজনীতি

স্বদেশবাণী ডেস্ক: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব স্থিতিশীলতা লাভ করে।

সোমবার (১১ জানুয়ারি) সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু ফিরে না আসলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৈৗমত্ব হুমকীর মুখে পড়তো। স্বাধীনতার পর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে থাকা অস্ত্র সমর্পন, মিত্র বাহিনীর সদস্যদের ভারতে ফেরত পাঠানো অসম্ভব হয়ে পড়তো। বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে আসার কারণেই স্বাধীন রাষ্ট্র বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার স্বীকৃতি আদায় দ্রুত সম্ভব হয়েছে। সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রসঙ্গে আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে দেশ যখন উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার মহাসড়কে, তখন আন্দোলন সংগ্রামে ব্যর্থ হয়ে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি দেশবিরোধী নানান ধরনের ষড়যন্ত্রে মেতেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ থেকে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবলোয় দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছিলো অপূর্ণ। তাঁর ফিরে আসার মধ্য দিয়ে বাঙালির আশা-আকাঙ্খা পরিপূর্ণতা পায়। জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সকল প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক পথে উন্নয়ন আর অগ্রযাত্রার পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সুসংহত করতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অতীব জরুরি ছিল।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের শক্তিশালী রাষ্ট্রের বুনিয়াদ তৈরী করে গেছেন বঙ্গবন্ধু্। তিনি বেঁচে থাকলে বাংলাদেশে আর সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঘটতো না। এই প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপোষহীন।

আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টি জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীসহ কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *