বাঘা প্রতিনিধি: বাঘায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। টিসিবির পণ্য ক্রয় করতে আসা সাধারণ মানুষ ডিলারের বিরুদ্ধে নির্দ্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দাম নেওয়া ও ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ এনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়,বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে বাঘা উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ৪জন ডিলারের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্য পণ্য বিক্রি শুরু করেছে। ছবি সংবলিত একজন কার্ডধারি ক্রেতা ১১০ টাকা দরে দুই লিটার সয়াবিন তৈল, ৫৫ টাকা দরে ১ কেজি চিনি ও ৬৫ টাকা দরে দুই কেজি ডাল ক্রয় করতে পারবেন। সব মিলে তিন ধরনের পণ্যর দাম পড়ে ৪০৫ টাকা। কিন্তু ক্রেতাদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ৪১০ টাকা। আর সোয়াবিন তৈল বাদে চিনি ও মসুরের ডাল ওজনে ১০০ গ্রাম করে কম পাচ্ছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের । এছাড়াও সরকারি ব্যবস্থাপনায় ট্রাক সেলে পণ্য বিক্রির কথা থাকলেও সেটিও মানা হচ্ছেনা। নিয়ম অনুযায়ী মনিটরিং করার জন্যে উপজেলা প্রশাসনের একজন তদারকি কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট পৌরসভার মেয়র-কাউন্সিলর,ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বরদের থাকার কথা রয়েছে। কিন্তু সার্বক্ষনিক তাদের উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে না।
বাঘা পৌরসভার কাউন্সিলর মোশারফ হোসেন বলেন,পণ্য বিক্রি বিষয়ে তাদের জানানো হয়নি। তবে বিক্রিতে অনিয়ম ও কিনতে ভোগান্তি হয়েছে বলে জানান তিনি।
উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় ছবি সংবলিত বিশেষ কার্ডধারির সংখ্যা ১৪ হাজার ৭৭৭ জন। বাঘা পৌর এলাকার বাজুবাঘা নতুন পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মহির উদ্দিন ভুট্টু জানান, প্যাকজের দাম দিয়েছেন ৪১০ টাকা। চিনি ও মসুরের ডা’ল ওজনে ১০০ গ্রাম করে কম পেয়েছেন। পৌরসভার টিসিবি ডিলার শাহিন আলমের কাছ থেকে পণ্য কিনেছেন। শাহিন আলম জানান, খুচরা টাকার সমস্যার কারণে ৪১০ টাকা নেয়া হয়েছে। তবে সবার কাছ থেকে নেওয়া হয়নি। ওজনে কম দেয়ার ঘটনা সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার শারমিন সুলতানা বলেন, ট্রাক সেলে পণ্য বিক্রির নির্দেশানা পাননি। তবে অবিক্রিত পণ্য ডিলারদের হেফাজতে পরেরদিন কার্ডধারিদের মধ্যে বিক্রি করবেন। তবে টিসিবি পণ্য বিক্রিতে কোনও অনিয়ম সহ্য করা হবে না। তদন্ত করে ওই টিসিবি ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্ব.বা/ম