নওগাঁয় মাঝারী শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত

সারাদেশ

স্বদেশবাণী ডেস্ক: নওগাঁয় দ্বিতীয় দফায় বইছে মাঝারী ধরণের শৈত্যপ্রবাহ। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জেলার বদলগাছী আবহাওয়া অফিস শুক্রবার সকালে দেশের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই বইছে হিমেল হাওয়া। সেই সঙ্গে তাপমাত্রা উঠানামা করছে।

গত বুধবারও নওগাঁয় দেশের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। বৃহস্পতিবারও তাপমাত্রা ছিল একই।

বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ইনচার্জ ফেরদৌস মাহমুদ জানান, শুক্রবার সকাল ৬টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গত কয়েকদিন ধরে দিন ও রাতের আবহাওয়ার ব্যবধান কমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। সকালে ও রাতে দেখা যাচ্ছে ঘন কুয়াশা। এর সাথে রয়েছে উত্তরের হিমেল হাওয়া।

তিনি বলেন, দেশে ২ ডিগ্রি থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলে অতি শৈত্যপ্রবাহ হয়। ৪ ডিগ্রি থেকে ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকলে হয় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলা হয় এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। বদলগাছী ছাড়াও নওগাঁ সদর, মহাদেবপুরসহ জেলার ১১ উপজেলায় ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাসে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। কয়েক দিন ধরে কিছুক্ষণের জন্য রোদের দেখা মিললেও হিমেল বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উত্তাপ ছড়াতে পারছে না সূর্য। দিনভর শীতে জবুথবু থাকতে হচ্ছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকে।

নওগাঁ সদর উপজেলার দুবলহাটি গ্রামের কৃষক মাসুম মন্ডল জানান, ঘন কুয়াশায় বোরো বীজতলা বিবর্ণ রঙ ধারণ করছে। দুর্বল হয়ে পড়ছে ধানের চারা। এছাড়া কনকনে শীতে ইরিবোরো রোপণ করতে পারছেন না কৃষকরা। পাকা সরিষা গাছ তুলে এনে রাখলেও রোদ না থাকায় তা শুকানো যাচ্ছে না।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *