কনকনে শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

সারাদেশ

স্বদেশবাণী ডেস্ক: ঠাকুরগাঁওয়ে কনকনে বাতাস ও ঘন কুয়াশায় দাপট বৃদ্ধি পাওয়ায় জেঁকে বসেছে শীত। এতে ছন্দপতন ঘটছে স্বাভাবিক জীবনের। হাড়কাঁপানো শীতে গরম বস্ত্রের অভাবে ছিন্নমূল মানুষের কষ্ট বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে যারা বাইরে নৈশ্যপ্রহরী হিসেবে নিয়োজিত তাঁদের অধিকাংশ খড়খুটো দিয়ে আগুন না জ্বালালে রাত কাটাতে পারছেন না।

এছাড়া দিনমজুর যারা কাজের জন্য শহরে এসে অপেক্ষা করেন তাদের অধিকাংশ কাজ না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন। তারা সংসার নিয়ে বিপাকে পড়ছেন। তাদের মধ্যে যারা কাজ পাচ্ছেন তারা শীতের তীব্রতার জন্য সঠিকভাবে কাজ করতে পারছেন না। সকালে নিম্ন মধ্যবিত্ত যারা কাজের জন্য বাইরে বের হচ্ছেন, তাঁরা চায়ের দোকানে চুলোর আগুনে হাত গরম রাখতে ভিড় করছেন।

এদিকে, শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে হাসপাতালগুলোয় বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। এদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। সদর হাসপাতালে সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত নতুন করে ৪৫ জন শিশু ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

এর আগে থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিল শতাধিক শিশু। শিশু ওয়ার্ডে শয্যার চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় কাঙ্খিত সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সগন। ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে শিশুদের বাঁচাতে অভিভাবকদের সচেতন হবার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকগণ।

ঠাকুরঘাঁও শিশু হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ড শাহজাহান নেওয়াজ বলেন, ‘শিশু বাচ্চাদেরকে কোনওভাবেই ঠাণ্ডা লাগানো যাবে না। তাদেরকে ভালোভাবে গরম কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। এবং দিনে রোদ পড়লে তারপর ঘর থেকে বের করতে।’

আজ মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে- ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *