কবরস্থানে নির্মাণ হচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর!

সারাদেশ

স্বদেশবাণী ডেস্ক: নাড়াইল জেলার সীমান্তবর্তী মধুমতি নদীর তীরে চাপাইল গ্রামে কবরস্থানের জায়গায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে জনমনে অসন্তোষ দেখা গেছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, চাপাইল গ্রামে কোনো কবরস্থান নেই। এ গ্রামে অন্তত ৭০ একর খাসজমি রয়েছে। এর মধ্যে কিছু জমি ভূমিহীনদের সরকার বন্দোবস্ত দিয়েছে। বাকি ৪৫ একর জমি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। চাপাইল ঘাটসংলগ্ন মসজিদের সামনে অন্তত ৫০ শতক খাসজমি কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রায় দেড় বছর আগে স্থানীয় জনগণের অনুরোধে কবরস্থান করার মৌখিক সম্মতি দেন। গ্রামের মানুষের অনুদানের ৪ লাখ টাকায় মাটির বেড়িবাঁধ দিয়ে কবরস্থানের ভূমির উন্নয়ন করা হয়।

গত জুলাই মাসে চাপাইল গ্রামের প্রবীণ কাশেম খানের লাশ ওই কবরস্থানে দাফন করা হয়। মসজিদের সামনের কবরস্থানের ওই জায়গায় এখন আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।

আবদেনপত্রে কবরস্থানের জায়গা থেকে সরিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পড়ে থাকা খাসজমিতে নির্মাণের দাবি জানানো হয়েছে।

চাপাইল গ্রামের ভূমিহীন তাহাবুর খান বলেন, এ কবরস্থানে আমার বাবার কবর দিয়েছি। এখন বাবার কবরের পাশ দিয়ে কবরস্থানের জায়গায় আশ্রয়ণের ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে কবরস্থানটি বিপন্ন হচ্ছে। আমরা ভূমিহীন ও গরিব তাই আমাদের কথা প্রশাসন শুনছে না। আমরা এ কবরস্থান রক্ষার দাবি জানাচ্ছি।

কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা বলেন, স্থানীয়রা কবরস্থানের জন্য আমার কাছে জমি চেয়েছিলেন। কিন্তু আমি তাদের কোনো জমি বরাদ্দ দেইনি। এমনকি মৌখিকভাবেও তাদের কবরস্থান করার সম্মতি প্রদান করিনি।

নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ হাবিবুর রহমান বলেন, আমি এ জেলায় নতুন যোগদান করেছি। ওই স্থানে আশ্রয়ণ প্রকল্প হচ্ছে কিনা, তা আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *