চট্টগ্রামে ১৯ দিনে করোনায় কোনো মৃত্যু নেই

সারাদেশ

স্বদেশবাণী ডেস্ক: করোনা ভাইরাসে মৃত্যুশূন্য ১৯তম দিনে চট্টগ্রামে নমুনা পরীক্ষায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৫৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ৪ দশমিক ০৭ শতাংশ।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে নগরীর সাতটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ৩২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন ৫৪ জন বাহকের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪৬ জন এবং পাঁচ উপজেলার ৮ জন। ফলে এ পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৩৩ হাজার ৮৪৪ জনে দাঁড়ালো। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৬ হাজার ৪৬৩ জন ও গ্রামের ৭ হাজার ৩৮১ জন। উপজেলা পর্যায়ে গতকাল শনাক্ত ৮ জনের মধ্যে সন্দ্বীপে ৩ জন, সীতাকু-ে ২ জন এবং রাউজান, পটিয়া ও বোয়ালখালীতে ১ জন করে রয়েছেন।

গতকাল করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে জেলায় মৃতের সংখ্যা ৩৬৯ জনই রয়েছে। এর মধ্যে ২৬৮ জন শহরের ও ১০১ জন গ্রামের। গতকালসহ একটানা ১৯ দিন চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। করোনার জটিলতায় সর্বশেষ রোগীর মৃত্যু হয় ২৪ জানুয়ারি।

এদিকে, গত ১১ দিন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা একশ’র কম থেকেছে। শতক পার হওয়া (১০৮ জন) সর্বশেষ দিন ছিল পহেলা ফেব্রুয়ারি। এর আগে ১২ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত একটানা ১৯ দিন করোনা ভাইরাসের বাহক সংখ্যা একশ’র নিচে ছিল।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৬৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১০ জনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৩৫৯ জনের নমুনার মধ্যে ১৮ জন করোনা পজেটিভ চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৩০ টি নমুনার ৪ টিতে করোনার ভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৬১ জনের নমুনায় ৪ জন করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত হন।

বেসরকারি তিন ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ১০০, ইম্পেরিয়ালে হাসপাতালে ৫১ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ১০ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে যথাক্রমে ৮, ৯ ও ১ টি নমুনায় ভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে। চট্টগ্রামের ৭৭ টি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হলে পরীক্ষায় সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।

তবে, এদিন জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে নমুনা পরীক্ষা হয়নি।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, চমেকে ৫ দশমিক ০১, চবি’তে ১৩ দশমিক ১৩, সিভাসু’তে ৬ দশমিক ৫৬, শেভরনে ৮ শতাংশ, ইম্পেরিয়ালে ১৭ দশমিক ৬৫ এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
এসএ/

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *