স্বদেশবাণী ডেস্ক: নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, কারাগারে আমার ১০ নেতাকর্মী আটক রয়েছে। ডিবি পুলিশ নেতাকর্মীদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে অভিযান চালাচ্ছে। একজন কর্মীর (কসাই কাঞ্চন) বাড়িতে অস্ত্র রেখে পুলিশ আমাকে অস্ত্রবাজ সাজাতে চাচ্ছে।
পৌরসভা অফিসে ফেসবুক লাইভে এসে শুক্রবার দুপুরে তিনি এসব কথা বলেন। কাদের মির্জা বলেন, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় আমাকে মনোনয়নবাজ, টেন্ডারবাজ, দখলবাজ উল্লেখ করে সংবাদ পরিবেশন করেছে। সংবাদপত্র জাতির বিবেক, আমার বিরুদ্ধে লেখাগুলো সত্য প্রমাণ করতে পারলে আমি কোম্পানীগঞ্জ থেকে হিজরত করব। দৈনিক যুগান্তর অনেক সত্য সংবাদ প্রকাশ করেছে। যুগান্তরকে আবারও অনুরোধ করব সত্য প্রকাশ করুন, সত্য লিখুন। তিনি দাবি করেন, এগুলো করছে একরাম-নিজাম সিন্ডিকেট। ওরাই অস্ত্রবাজ লালন করে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান ও সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, এরা জাসদের গণবাহিনীর অস্ত্রধারী ছিল। তারা কবিরহাটে ব্যাংক ডাকাতিও করেছে। আমাদের নেতাকে গুলি করে হত্যা ও আহত করেছে। ওবায়দুল কাদেরকেও এরা মেরে ফেলত। কিন্তু তিনি কোম্পানীগঞ্জ থেকে ঢাকায় পালিয়ে গিয়ে মৃত্যু থেকে বেঁচে গেছেন। জাসদের গণবাহিনী তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকারকে অজনপ্রিয় করে সপরিবারে হত্যা করেছিল।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দুর্নীতিতে জড়িত থাকলেও নিচের পুলিশ সদস্যরা অনিয়মে জড়িত নন। তবে নোয়াখালীর এসপি হত্যা মামলা নিয়ে পিবিআইকে প্রভাবিত করছে বলে আবারও অভিযোগ করেন কাদের মির্জা।
দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতায় শুক্রবার ‘বৃহত্তর নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি : একরাম-নিজাম সিন্ডিকেটের ‘লম্বা হাত’ সর্বত্র!’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ওইদিন নিজ ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।