স্টাফ রিপোর্টার: ৫ ই আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামীলীগের মধ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায় স্থান দখল করেছে রাজশাহীর শীর্ষ সন্ত্রাসী রুবেল। দলীয় সূত্রের অনেকে বলছে, মেয়র লিটনের নির্দেশেই সেদিন ছাত্র-জনতার উপরে প্রকাশ্যে দুই হাতে দুই পিস্তল নিয়ে গুলি চালায় ছাত্র-জনতার উপরে। মেয়র লিটনের হাতে হাত রেখে রুবেল শীর্ষ সন্ত্রাসীতে রূপান্তরিত হয়।
রাজশাহীর কয়েকটি ডায়গনিক সেন্টার ক্লিনিক ও ঠিকাদার ও ভূমি দস্যুরা রীতিমতো তাকে মাসিক চাঁদা দিত। স্থানীয়দের তথ্যমতে নিশ্চিত হওয়া গেছে রুবেল বর্তমান কলকাতায় আত্মগোপনে রয়েছে মেয়র লিটনের সহায়তায়। সেখান থেকে যোগাযোগ রেখে ডায়গনিক সেন্টার, ভূমি দস্যু ও ঠিকাদারদের কাছ থেকে মাসিক চাঁদা এখনো উত্তোলন করছে বলে যানা গেছে। রাজশাহীর এক মাফিয়া ডনে রূপান্তরিত হয়েছিল রুবেল।
রুবেলের উত্থান কিভাবে এমনটি জানান, একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার। তিনি বলেন রুবেল এক সময় ভাড়াটিয়া মাস্তানি হিসেবে কাজ করতো। অনেক সময় টেন্ডার ড্রপ ও বিভিন্ন টেন্ডার ঠেকাতে রুবেল কে ব্যবহার করা হতো। রুবেলের দৈহিক গঠন ইন্ডিয়ার নায়ক সঞ্জয় দত্তের মত হওয়ায় ও তার সঞ্জয় দত্তের মত স্টাইলে গুলি করার কারণেই সকলের আকর্ষণ টানে রুবেলের দিকে। মাস্তানি জগতে তার কিছু স্টাইলের কারণেই বড় বড় জায়গা থেকে তার ডাক আসে।
এছাড়াও তিন নম্বর ওয়ার্ডের ভূমিদস্যু শফিকুল তাকে জমি দখল করতে ব্যবহার করত। শফিকুল অনেক জমি দখলে তাকে ব্যবহার করে শফিকুল ও কোটি টাকার মালিক হয়েছে পরবর্তীতে শফিকুল মারা যায়। ভূমিদস্যু করতে গিয়ে স্থানীয়দেরা পিটিয়ে মেরে ফেলে শফিকুলকে। তিনি তার ভাই ভূমিদস্যু সালামের হয়ে কাজ করতে থাকে। সালামের জমি দখল করতে গিয়ে টাকার বনি বনা না হয় তিনি সালামের সাথে তার কোন কাজ করত না যার একাধিক কল রেকর্ড ও ছবি ও ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। এরই মধ্যে মায়া গ্রুপের মাহফুজকে কারো সাথে প্রকাশ্য গুলি করে রাজশাহীর মাফিয়া ডন হয়ে যান রুবেল। ইতিমধ্যেই একজন ব্যবসায়িক টাকা ছিনতাই করে ধরা খেয়ে যায় রুবেল এ সময় ডাবলু সরকার তার ক্ষমতার দাপটে রুবেল কে বের করে নিয়ে আনে এবং ডাবলু সরকার হয়েও কিছুদিন কাজ করে এই রুবেল।
এরই মধ্যে মেয়র লিটন ও ডাবলু সরকারের একটি লবিং গ্রুপিং তৈরি হয়। লিটন নিজেকে রাজশাহীর একছত্র রাজা বানাতে রুবেল কে কাছে টেনে নেয়।
রুবেলের আরো একজন সহযোগী হলো ছাত্রলীগের মহানগরের সাবেক সভাপতি রকি। রুবেলকে দিয়ে হিন্দুদের একাধিক সম্পত্তি দখল করিয়েছে এই রকি। লিটন রকি সহ একাধিক নেতার ছত্রছায়া থেকে সালামের ছোট ভাইয়ের সাথে ও রুবেলের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে সালামের ছোট ভাই যুবদল নেতা। এই রকি ছাত্রশিবিরের শত শত নেতাকর্মীকে পুলিশকে দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছে।
৫ ই আগস্ট মেয়র লিটনের কথা শুনে ছাত্র জনতার উপর প্রকাশ্যে গুলি করে রুবেল এবং তার সাথে জড়িত ছিল পুলিশের অনেক সাবেক কর্মকর্তা। এদপর মধ্যে সাবেক ওসী হুমায়ুন কবির এসআই ইফতেখার আলম এস আই মোস্তফা সহ অনেকেই বোয়ালিয়া থানার ততকালীন প্রতিটি পুলিশ কর্মকর্তায় এই ছাত্র জনতার উপর গুলি করার সাথে জড়িত ছিল এমনটি জানান মৃত ছাত্রদের পরিবারবর্গ।
মহানগর যুবলীগের সাবেক সভাপতি রমজান আলী ও রুবেলকে দিয়ে অনেক জমি দখল করেছে। রুবেলকে সর্বশেষ বেপরোয়া করে তোলে মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি। একজন ডেভলপারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাজশাহী ছাড়া সহ তার নামে মামলা দেয়া নানাভাবে হয়রানি করে এই রুবেল। সেই দিন রুবেলকে অস্ত্র ও টাকা দিয়ে সহায়তা করেছিল রনি। রুবেলের কে বেপরোয়া করে তুলেছেন মেয়র লিটন যুবলীগের রনি মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু ও মহানগর যুবলীগের সাবেক সভাপতি রমজান আলী, ডাবলু সরকারের ভাগিনা লিমনের সাথে ও তার গোপন সম্পর্ক রয়েছে। লেমন রুবেলকে একটি ফ্ল্যাট কিনে দেন। রাজনৈতিক নেতারা এ ধরনের মাস্তান তৈরি করবে রাজনৈতিক নেতাদের কারণে সব সময় ধরনের মাস্তান তৈরি হয়। রাজশাহীর সন্ত্রাসীদের শীর্ষক গডফাদার লিটন, ডাবলু ও এদের ছত্রছায়ায় এমন বেপরোয়া হয়েছে রনি।