স্টাফ রিপোর্টার: ছাত্র-জনতা আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে। প্রতিশোধ পরায়ণ না হয়ে জামায়াতে ইসলামী এ দেশটাকে নতুন করে গড়তে চায়। জামায়াতে সবচাইতে নির্যাতিত ও নিপিড়ীত একটি দল তার পরেও আমরা এর প্রতিশোধ নিতে চাইনা বলে দাবি করেছেন রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমীর ড. মাওলানা কেরামত আলী। আজ শনিবার বেলা ১১টায় রাজশাহীর একটি রেস্টুরেন্টে রাজশাহীর সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন। এসময় রাজশাহী মহানগর জামায়াতে ইসলামির সাধারণ সম্পাদক এমাজ উদ্দিন মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় জামায়াতের নেতারা বলেন, আওয়ামী সরকারের আমলে রাজশাহীতে জামায়াতের ১২ জন নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। জামায়াত ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবির বিগত পনের বছরে অন্য সকল দলের চেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে। প্রতিশোধ যদি নিতে হয় জামাতেরই প্রতিশোধ নেওয়া উচিত। সেটা না করে দেশ গড়ার কাজ করছে দলটি। জামায়াতে ইসলামী প্রতিশোধ নিতে চায় না। আমাদের পরিকল্পনা কীভাবে দেশটা নতুন করে সাজানো যায়।
সভায় জানানো হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে সেই পরিবারগুলোকে জামায়াতের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।দেশ গড়তে এখন কোন সহিংসতা চায় না জামায়াত।
এ সময় পুলিশের সমালোচনা করে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বলা হয়, অধিকাংশ মামলা ও নিযাতন রাজনৈতিক নেতৃবেৃন্দের আদেশে পুলিশের দারা সংঘটিত হয়েছে। পুলিশ তাদের নেতাকরর্মীদের নিযাতন করেছে। শুধু দেশের স্বার্থে পুলিশের থানাসহ ক্ষতিগ্রস্থ সকল সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা দেয়া সহ গুছিয়ে দেয়া হেচ্ছে।
এ সময় রাজশাহী মহানগর জামায়াতে ইসলামির আমীর ড.মওলানা কেরামত আলী, সাধারণ সম্পাদক ইমাজ উদ্দিন মন্ডল, নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট আবু ইউসুফ সেলিম, প্রচার ও গণমাধ্যম সম্পাদক সারওয়ার জাহান প্রিন্স, রাজশাহী মহানগর জামায়াত ইসলামী রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি সিফাত আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।