পবা সংবাদদাতা: আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে দীর্ঘ ১২ বছর অধ্যক্ষ থেকে গত তিন মাস ধরে পলাতক রয়েছেন অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন। তিনি বিগত সরকারের সময় আওয়ামী লীগের দাপট প্রভাব খাটিয়ে নিজেকে আওয়ামীলীগ নেতা সাজিয়ে এবং আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি।
শিক্ষার্থীরা জানান, জয়নাল আবেদীন ২০১২ সালে অধ্যক্ষ হন কাটাখালি আদর্শ ডিগ্রী কলেজের। কাটাখালীর বাসিন্দারা জানান তারপর থেকে তিনি এমপি মেরাজ মোল্লা এমপি আইন ও আসাদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করে নৌকায় ভোট চেয়ে এমপির প্রভাব খাটিয়ে কলেজে নিয়োগ বাণিজ্য করে হাতে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।
তার সময়ে কলেজের বিএনপির পন্থী শিক্ষকরা নানাবিধ সমস্যায় থাকতে হতোনা। প্রমোশন মামলা দিয়ে অনেককে জেল খাটানোর অভিযোগ উঠেছে এই আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে। ৫ ই আগস্ট এর পরে তিনি ছাত্র জনতার ভয়ে পালাতো ছাত্রদের বিরুদ্ধেও নানা কার্যক্রমে স্বরূপ এই অধ্যক্ষ।
স্থানীয়রা জানান, এমপি আসাদ যখন ছাত্রদের উপর হামলার পরিকল্পনা করেন তিনি তখন তার সাথে ছিলেন এমনটি তথ্য নিশ্চিত করেন শিক্ষার্থীরা। ছাত্র জনতার ভয়ে পলাতক অধ্যক্ষ গত আড়াই মাসের অধিক সময় ধরে তিনি কর্মস্থলে যান না তারপরেও কবার ইউনো সোহরাব তাকে অধ্যক্ষ পদ বাঁচানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন এমনটি অভিযোগ করেন কলেজের শিক্ষকরা। নিয়ম অনুযায়ী আড়াই মাস ধরে কলেজে না গিয়েও তাকে সহায়তা করছেন পবার ইউএনও সোহরাব। ইসলামিয়া কলেজ বঙ্গবন্ধু কলেজ হাজী জমির উদ্দিন সাফিনা মহিলা কলেজে অধ্যক্ষরা ছাত্র-জনতার ভয়ে পালিয়ে গেলেও সেখানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কিন্তু ব্যতিক্রম এই কাটাখালি আদর্শ ডিগ্রি কলেজ।
অভিযোগ উঠে চার ঘাটে ছিলেন পবারে ইউএনও সোহরাব সেই সময়তে তার সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীনের তাইতো তাকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। পবার ইউন ও স্ত্রী বর্তমানে চারঘাট ইউন ও। অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীনের আত্মীয়স্বজনের বাড়ি চারঘাট হওয়ায় তিনি এভাবে ম্যানেজ করেছেন ইউনুকে এমনটি অভিযোগ করে নাম প্রকাশে অনি যুগ কলেজের শিক্ষকরা। গড়ি মসি সময় পার করছেন ইওনো।
এ বিষয় নিয়ে ইউনো মহোদয়ের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমরা নিয়মের মধ্যেই সবকিছু করব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ম অনুযায়ী করা হবে কিন্তু তাকে পাল্টা প্রশ্ন করা হয় দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে এখানে অধ্যক্ষ। তা হয়নি কেন এ কথার তিনি সদুত্তর দেননি তিনি মন্ত্রণালয়ের দোহাই দিয়ে মুঠোফোনটি কেটে দিন।
অভিযোগ উঠেছে জয়নাল আবেদীন বিএনপির এক নেতাকে ম্যানেজ করে নানা প্রকার তপতৎপরতা চালাচ্ছে। সেই বিএনপি নেতা ইউওনোকেউ ম্যানেজ করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিযোগ অনিচ্ছুক একজন কলেজ শিক্ষক জানানএ ৫ ই আগস্ট এর পর থেকেই ছাত্র জনতার ভয়ে আত্মগোপনে আছেন অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন। তিনি নিয়োগের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
কলেজের একজন সিনিয়র অধ্যাপক সিরাজুল স্যারের সাথে কথা বললে তিনি জানান যে আমি একজন সিনিয়র অধ্যাপক। কলেজের শিক্ষকরা আমাকে অধ্যক্ষ হিসেবে চাচ্ছে। অধিকাংশ কলেজ শিক্ষকদের সাথে কথা বললে তারা অধ্যক্ষ হিসেবে সমর্থন জানান অধ্যাপক সিরাজুল ইসলামকে।