বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা- চিকিৎসক ও সিনিয়র স্টাফ নার্স সহ কর্মচারীদের ভয়-ভীতি অশালীন ভাষায় গালিগালাজ, হাসপাতালে রোগীদের পথ্য সরবরাহ করতে বাধা প্রদান করে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে ড্রাইভার বুলবুল আহমেদের বিরুদ্ধে । দিনের পর দিন তার এ ধরনের আচরণে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবায় কর্মরত সকল কর্মকর্তা কর্মচারী প্রাণভয়ে শঙ্কায় রয়েছে। এর আগেও হাসপাতালে আগত রোগীদের জিম্মি করে টাকা আদায় করে চড় থাপ্পড় মেরে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগও ড্রাইভার বুলবুল আহমেদের বিরুদ্ধে রয়েছে।
সর্বশেষ শনিবার (৯ অক্টোবর) হাসপাতালের ওয়ার্ডের ভেতরে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা-নার্সদের মারমুখি আচরন করে অপমান অপদস্ত করে। এসময় ওয়ার্ডে চিকিৎসারত রোগী-অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
জানা যায়,শনিবার সকাল ১০ টা ৪০ মিনিটে উত্তর মিলিকবাঘা গ্রামের গোলাম মোস্তফার, ৩ বছরের শিশু মোস্তাকিনকে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু) ডাঃ ফেরদৌসী বেগম রোগীকে পর্যবেক্ষন করেন। এ সময় খিচুনিসহ অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেওয়ায় অক্সিজেনসহ উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। রোগীর লোকজন বহিরাগত মাইক্রো ড্রাইভার বুলবুল আহমেদ ও অনিককে নিয়ে আসেন। এসময় তারা রোগীকে না নিয়ে সিনিয়র স্টাফ নার্সদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ অসদাচরন করে। রোগী দ্রুত রামেক হাসপাতালে নিয়ে না গেলে মারা যেতে পারে বললে তারা (বুলবুল আহমেদ ও অনিক) নার্স-চিকিৎসককে মারধর, হামলা ও ভাংচুরের উদ্দেশ্য বহিরাগতদের ডেকে আরো চড়াও হয়। পরে আনসার সদস্যদের সহযোগিতায় রক্ষা পায়। এতে আধা ঘন্টা দেরি হলে রোগী মারা যায়। এর আগে বর্হিঃবিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু) ডাক্তার আসাদুল ইসলামের পরামর্শক্রমে ১০ টা ৩০ মিনিটে জরুরি বিভাগে ভর্তি হয়ে শিশু ওয়ার্ডে নেওয়া হয়।
এসব বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাক্তার আসাদুজ্জামান আশাদ বাদি হয়ে বাঘা থানায় অভিযোগ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, সরকারি কাজে বাধা প্রদান সহ চিকিৎসার সেবা ব্যাহত করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অপমান অপদস্থ করার জন্য পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই ধরনের কার্যকলাপ করে বেডাচ্ছে।
রোগীর অভিভাবক গোলাম মোস্তফা জানান , রামেক হাসপাতালে নেওয়ার জন্য বললে ড্রাইভার বুলবুলকে জানানো হয়। এ বিষয়ে বুলবুল আহমেদ দাবি করেন, বিষয়টি তাকে জানানোর পর ওয়ার্ডে যান। সেখানে রোগীর মৃত প্রায় অবস্থা দেখে চিকিৎসা প্রদানের বিষয়াদি নিয়ে ঝামেলা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, বিষয়টি জানার পরে রোগীর কাছে গেলে ড্রাইভার বুলবুল আহমেদ ও অনিকসহ নাম না জানা অনেকেই মারমুখি হয়ে পড়ে। এ সময় স্থানীয় লোকজন স্টাফদের সহযোগিতায় অফিস কক্ষে ফিরে আসেন। তিনি বলেন,এর আগেও বহির্বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজের অভিযোগ রয়েছে ড্রাইভার বুলবুল আহমেদের বিরুদ্ধে। বাঘা থানার ওসি জানান,অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।