স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন রাজশাহী মহানগরীর আলুপট্টি মোড়ে গুলির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ছাত্র-জনতা। পুলিশ আর যুবলীগের গুলিতে সেদিন গুলিবিদ্ধ হন অর্ধশতাধিক। প্রাণ হারান দুই ছাত্র। এর কিছুক্ষণ পরই খবর আসে- পতন ঘটেছে আওয়ামী লীগ সরকারের। তাই রাজশাহী মহানগরীর আলুপট্টি মোড়ের নাম রাখা হলো ‘বিজয়ের মোড়’।
রোববার বিকালে আলুপট্টি মোড়ে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের এক সমাবেশে এ ঘোষণা দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের রাজশাহী জেলা ও মহানগর কমিটি এই সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে রাজশাহীর সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক সিটি মেয়র মিনু বলেন, ৫ আগস্ট রাজশাহীর তিন সন্তান শাহাদাত বরণ করেছেন। এখনো একজন গুম হয়ে আছে। আজ থেকে এই মোড়ের নাম বিজয়ের মোড়।
তিনি বলেন, রাজশাহীর তথাকথিত চোর, বাটপার, ভূমিদস্যু, বালুবাবা- তাদের গডফাদার ছিল অ্যাডভোকেট লিটন (সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন)। আর এখানকার একজন গডফাদার ছিল ডাবলু (মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার)। তাদেরকেও আগামী দিনেও বিচারের আওতায় আনা হবে এবং এই মোড়ের নাম দেওয়া হলো বিজয়ের মোড়।
এর আগে মহানগরীর বাটার মোড় থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের জেলা-মহানগরের নেতাকর্মী ছাড়াও বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি রাজশাহী কলেজের সামনে দিয়ে মনি চত্বর, সাহেববাজার হয়ে আলুপট্টি মোড়ে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা দলের রাজশাহী জেলার আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খোকা। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, সাবেক আহবায়ক আব্দুল কাদের বকুল, মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি প্রমুখ।