জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা : খালেদা জিয়াসহ সব আসামিকে খালাস

জাতীয় লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আপিল মঞ্জুর করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সাত বছরের দণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসাথে খালাস দেয়া হয়েছে এ মামলার সব আসামিকে।

বুধবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আপিলের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সাথে ছিলেন আইনজীবী মো: মাকসুদ উল্লাহ।

রায় ঘোষণার পর আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘এই মামলার কোনো সাক্ষী বলেনি যে খালেদা জিয়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। আদালত আমাদের আপিল মঞ্জুর করে খালেদা জিয়াকে খালাস দিয়েছেন।’

এ মামলার আপিলের বিষয়ে আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, ‘এই মামলাটি ছিল রাজনৈতিকভাবে মোটিভেটেড। মিথ্যা অভিযোগের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে হয়রানি করার জন্যই মামলাটা করা হয়েছিল। এখানে দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযোগ, এক কোটি ৩৫ লাখ টাকার হিসাব দেয়া হয়নি। তবে এখানে যে অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। নিম্ন আদালত রায়ে ন্যায়-বিচারের নামে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি অবিচার করেছেন। আমরা আশা করি, হাইকোর্টে ন্যায়-বিচার পাব।’

এর আগে গত ৩ নভেম্বর আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) তৈরি করতে অনুমতি নেয়া হয়েছিল।

২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো: আখতারুজ্জামান (বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একইসাথে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সাজা দেয়া হয় মামলার অপর তিন আসামিকেও।

দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মরহুম সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। ওই সময় হারিছ চৌধুরী পলাতক হন। বাকি আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্ত শেষে ২০১২ সালে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *