শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেপে উঠল বাংলাদেশসহ চার দেশ

জাতীয় লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেপে উঠল বাংলাদেশ, ভারত নেপাল, চীন ও ভুটান। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৭টা ৫ মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এর উৎপত্তিস্থল ছিল চীন। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল সাত দশমিক এক।

ভূমিকম্পের যে তীব্রতা ছিল, তাতে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ সকাল ৭টা ৫ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এটি মেজর ক্যাটাগরির ভূমিকম্প। ঢাকা থেকে ৬১৮ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে চীনের একটি স্থান ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। এর প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের কিছু এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে।

মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস-এর তথ্য অনুসারে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল চীনের জিজাং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে (তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল)। বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ৫ মিনিটের দিকে অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল সাত দশমিক এক। ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।

জার্মান রিচার্স সেন্টার ফর জিওসায়েন্স-জিএফজেড জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.০।

ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি-এনসিএস অনুসারে, ভূমিকম্পটি ভারতের স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে হয়েছিল। এর কেন্দ্রস্থল ছিল তিব্বতের জিজাং এলাকায়।

নেপালের সংবাদমাধ্যম কাঠমুন্ডু পোস্ট বলছে, কাঠমান্ডু ও আশপাশের জেলাগুলোতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। দেশটির ধাদিং, চিতওয়ান, সিন্ধুপালচোক, কাভরে এবং মাকওয়ানপুর জেলাতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমের কয়েকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পটি নেপালের সীমান্তের কাছে তিব্বতে আঘাত হানে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি এক্স-এ পোস্ট করেছে যে ,৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প তিব্বতের জিজাং এর কাছে আঘাত হেনেছে।

এর আগে গত ৩ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকা ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেল এর মাত্রা ছিল ৫। উৎপত্তিস্থল ছিল বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী মিয়ানমার বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

২০২৩ সালের নভেম্বরে ৬.৪ মাত্রার জোরালো ভূমিকম্প হয়েছে নেপালে। সেই বারের ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয় হিমালয়ের কোলে থাকা এই পাহাড়ি দেশে। বিজ্ঞানীদের মতে, এই অঞ্চলে ভারতীয় পাতের সাথে ইউরেশীয় পাতের সংঘর্ষের প্রবণতার কারণে ভূমিকম্পের আশঙ্কা বেশি থাকে।

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *