বাগাতিপাড়ায় মডেল মসজিদ উদ্বোধনের দুদিন পূর্বে সংবাদ সম্মেলন পাওনাদারদের

রাজশাহী লীড

বাগাতিপাড়া(নাটোর)সংবাদদাতাঃ নাটোরের বাগাতিপাড়ায় আগামী ২২ তারিখ দুপুরে মডেল মসজিদ উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। এই খবর পেয়ে মসজিদ উদ্বোধনের আগে পাওনাদারদের টাকা পরিশোধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে পাওনাদাররা। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে মডেল মসজিদের সামনে মসজিদের নির্মাণ কাজের মালামাল ও শ্রমিক সরবরাহ করা ব্যাক্তিরা ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সেখানে তারা তাদের বক্তব্যে জানান, মসজিদের নির্মাণ কাজের জন্য নাহিদ ট্রেডার্স, হোসেন এন্ড কোং, ইভানা ক্যাবল, কানিছ থাই এ্যালোমিনিয়াম, হ্যামকো ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স, আলিম মার্বেল মিস্ত্রি, জালাল রং মিস্ত্রি, দরজার চৌকাট, বরিং পাইপ মিস্ত্রি সেখানে কাজ করে এবং মালামাল সরবরাহ করে। তবে মসজিদের কাজ শেষ হয়ে তা হস্তান্তর করা হলেও তাদের পাওনা ত্রিশ লক্ষ একাশি হাজার টাকা পাননি এই পাওনাদাররা। তাদের অভিযোগ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সরকারের ঘর থেকে টাকা তুলে নিলেও পাওনাদারদের টাকা না দিয়ে নানা টালবাহানা করছে। হ্যামকো ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স এর প্রতিনিধি আরিফ হোসেন বলেন, আমি টাকা না পেয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছিলাম। তখন বেলাল সাহেব আমায় বললেন অভিযোগ তুলে নিতে তারা টাকা দিয়ে দিবেন। তবে আমি অভিযোগ তুলে নিলেও তারা আমায় টাকা দেয়নি। এদিকে কোম্পানি থেকে আমায় লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে টাকা না তুলতে পারার জন্য। কোম্পানি বলছে টাকা নাতুলে দিতে পারলে আমার জমি বেচে হলেও টাকা দিতে হবে। এখন আমি কি করবো বুঝতে পারছিনা।জানা যায়, মসজিদটি নির্মাণের জন্য কাজ পায় মিম ডেভলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং লি.।

এ বিষয়ে জানতে কথা হয় মিম ডেভলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং লি. এর স্বত্তধীকারি তারেক হোসেনের সাথে। তিনি জানান কাজটি আমার প্রতিষ্ঠান পেয়েছিল। তবে তৎকলীন সেখানকার আওয়ামীলীগের এমপি শহিদুল ইসলাম বকুল আমাকে বলেন কাজটি তুমি না করে আমার লোক বেলাল ও রোকনকে করতে দাও। তখন বাধ্য হয়ে আমি তাদের কাজটি করার অনুমতি দেই। এমপির কথায় তারা সেখানে মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করে ।

তিনি আরো বলেন, কাজের বিল যা তোলা হয়েছে আমি সব টাকা বেলাল আর রোকনের একাউন্টে দিয়ে দিয়েছি। আমি কারো কাছ থেকে বাকি নেইনি। আমার কাছ থেকে কেউ টাকাও পাবেনা। টাকা যদি পায় তবে বেলাল, রোকনদের থেকে পাবে।ওই কাজে বেলাল ও রোকনের আরেক পার্টনার জাহিদ হোসেন বলেন, এই মসজিদ নির্মাণ কাজে আমরা ৪ জন পার্টনার ছিলাম। তার মধ্যে এমপি বকুল একাই ৫০ শতাংশ এবং আমি বেলাল ও রোকন মিলে বাকি ৫০ শতাংশের অংশিদারীত্বের ভিত্তিতে কাজ করি। পাওনাদাররা টাকা পাবে এ কথা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, এই কাজের মুল ঠিকাদার তারেক হোসেন। আমরা তার থেকে টাকা পাবো। তবে তার কাছে টাকা চাইলে তিনি বলেন বকুল এমপিকে সব হিসাব দেয়া আছে। আপনারা কোন টাকা পাবেন না। তবে এমপি বকুল বর্তমানে পলাতক রয়েছেন এবং তার মুঠোফোনের নাম্বারটিও বন্ধ পাওয়া গেছে।

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *