ডাঁশমারীতে মতিহার থানাকে ম্যানেজ করে পলাশের পুকুর ভরাট

রাজশাহী

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুকুর, ডোবা, জলাশয় ভরাট ও নির্বিচারে বৃক্ষ নিধনের ফলে প্রকৃতির বৈরী আচরণের শিকার হচ্ছে রাজশাহী মহানগরী। তার ওপর রয়েছে বায়ু দূষণ। নগরীতে জলাশয় ভরাট বন্ধে উচ্চ আদালতের স্পষ্ট নির্দেশনা থাকার পরও কোনো ভাবেই থামছে না পুকুর-ডোবা ভরাট। এতে দিনের পর দিন রাজশাহী নগরী জলাশয় শূন্য হতে চলেছে।

অভিযোগ উঠেছে নগরীর ডাঁশমারী গোরস্থানের পাশে নিজেকে জামায়াত কর্মীর প্রভাব খাটিয়ে নগরীর মতিহার থানাকে ম্যানেজ করে রাতের আধারে পুকুর ভরাট করছে পলাশ নামের এক ব্যক্তি।

তথ্যের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে হারিয়ে যাওয়া এই পলাশ নিজেকে এখন এক প্রভাবশালী জামায়াত নেতার কর্মী পরিচয় দিয়ে গত ৫ আগষ্টের পর থেকে নগরীর মতিহার থানার ত্রাস হয়ে আছেন।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীরা বলেন,
কথিত এই নেতার কোনো অনিয়ম করতে কারো অনুমতি লাগেনা এমনকি হামলা মামলার ভয়ে এলাকাবাসীরা ক্যামেরার সামনে তার বিরুদ্ধে কথা বলতেও ভয় পাই। রাতের আধারে বালু ফেলে পুরোনো পুকুরটা আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। পাশে মির্জাপুর পুলিশ ফাঁড়ি তাদের টহল টিমের সামনে দিয়ে বালু এনে ফেলা হচ্ছে তবুও তারা নীরব।

এবিষয়ে পুকুর ভরাটকারী পলাশ জানান,এটা গোরস্থানের জায়গা এবং আমার কিছু পারিবারিক জায়গাও ছিলো সেটিও ভরাট করেছি। ভরাটের অনুমতি নিয়েছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন আমার কোন অনুমতির দরকার নাই অনুমতি ছাড়াই আমি পুকুর ভরাট করেছি।

এবিষয়ে জানতে রাজশাহী মহানগর জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া মুখপাত্র আশরাফুল আলম জানান, পলাশ নামের কাউকে আমি চিনতে পারছিনা।

এ বিষয়ে জানতে মতিহার জামায়াতের আমীর মোজাম্মেল মুঠোফোনে জানান,পলাশ আমাদের দলের কেউ না সে একজন ব্যবসায়ী।

এবিষয়ে মতিহার থানার (ওসি) আব্দুল মালেক বলেন, এই রকম কিছু আমার জানা নাই তবে আমি দেখছি বিষয়টা।

এবিষয়ে ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) বিষয়টি দেখবে বলে জানান।

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *