তানোরে গভীর নলকূপের অপারেটর নিয়োগ পেয়েই বেপরোয়া চাঁদাবাজি 

রাজশাহী
তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের অপারেটর নিয়োগ পেয়েই বেপরোয়া চাঁদাবাজি শুরু করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকার চিনাশো গ্রামের অর্ধশতাধিক কৃষকের স্বাক্ষর সংবলিত লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা। কৃষকের পক্ষে গত সোমবার বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তানোর জোনের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী বরাবর অভিযোগ দেয়া হয়। তবে এমন অভিযোগ প্রতি নিয়ত হলেও বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ একেবারেই উদাসীন। তারা কোন ধরনের কাজ করতে পারছেনা বা করছেন না।

জানা গেছে, নানা ধরনের নিয়মনীতি জুড়ে দিয়ে গত অক্টোবর  মাসের দিকে  নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির নোটিশ সাটানো হয়।  লোক দেখানো পরিক্ষা নেয়া হয়। অবশ্য আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সবকিছু করা হয়। ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ফলাফলে রাজনৈতিক নেতারা ও নেতাদের বিবেচনায় নিয়োগ দেয়া হয় অপারেটর। এমনকি গণহত্যা কারী স্বৈরাচার হাসিনার দোসররাও নিয়োগ পায়। সেই ফলাফল বাতিলের দাবিতে অফিস ঘেরাও সহ তালা মেরে দেন উপজেলা বিএনপির নেতারা। একারনে প্রায় সপ্তাহের বেশি সময় অফিসে আসেন নি অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী জামিনুর।

অভিযোগে বলা হয়, উপজেলার ৮০ নম্বর কচুয়া মৌজায় অবস্থিত আরএস ৫৪ নম্বর দাগে গভীর নলকূপ রয়েছে। দলীয় বিবেচনায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ পান চিনাশো গ্রামের শাওন। তার পিতার নাম সাজ্জাদ হোসেন। তিনি গভীর নলকূপের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বিভিন্ন কায়দায় সেচ হার বাদেও ১২০০ /১৫০০ টাকা করে সন্ত্রাসী কায়দায় আদায় করেছে। টাকা না দিলে ফসলহানী সহ নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছেন।

ওই গভীর নলকূপে প্রায় ৮০ বিঘা জমিতে আলুর প্রজেক্ট করেছেন চিনাশো গ্রামের মোস্তফা। জমির লীজের ও সেচের টাকা দেয়ার পর তাকে প্রায় ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা চাঁদা দিতে হয়েছে। এই চাঁদার টাকা নিয়েছেন মুন্ডুমালা পৌরসভা ও তানোরের শীর্ষ নেতা। টাকা না দিলে তার ফসলহানী করা হবে বলে সাজ্জাদ হুমকি দিয়ে আসত। বাধ্য হয়ে টাকা দিয়েছি। আলু উত্তোলনের সময় দলের নাম করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন সাজ্জাদ। না দিলে জমি থেকে আলু নিয়ে আসতে দিবে না। তাছাড়া বিভিন্ন ভাবে মামলা হামলার হুমকি দিয়ে থাকে।

নেতাদের টাকা নেয়ার বিষয় টি ভিডিও বক্তব্য দিয়েছিলেন মোস্তফা। যা নেট দুনিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠে। তবে অপারেটর শাওনের পিতা সাজ্জাদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রজেক্ট ও কৃষকের কাছ থেকে কোন টাকা নেয়া হয়নি। আমাকে ও দলের বদনাম করতে অপপ্রচার করছে তারা।

অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী জামিনুর রহমান জানান, অভিযোগ হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *