বাঘায় পায়ের দুই হাঁটুর নীচে সবখানেই ধারালো অস্ত্রের আঘাত, হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন প্রতিবন্ধী নববধূ

রাজশাহী

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি: দেখলে মনে হবে অবিকল ধানের জমিতে নাংলি দেওয়ার মতো। তবে বাস্তবতা হলো, ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করার দৃশ্য। দুই পায়ের হাঁটুর নীচে কুপিয়ে জখমের এই দৃশ্য দেখা গেছে সবে মাত্র বিয়ে হওয়া প্রতিবন্ধী নারীর শরীরে। সপ্তাহ না যেতেই প্রতিবন্ধী নারীর স্বামী মোবারক হোসেন বুধবার (২৬-৩-২৫) রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো ছুরি দিয়ে দুই পায়ের হাঁটুর নীচে কুপিয়ে জখম করে। অসহায়ত্ব অবস্থায় তার চিৎকারে পাশের বাড়ির এক লোক নববধূর পিতাকে বিষয়টি জানান। নববধূর পিতা নাজিম উদ্দিন জানান,খবর পেয়ে পরে তাকে উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নেন। সেখানকার চিকিৎসকের পরামর্শে ভর্তি করা হয়েছে।

নাজিম উদ্দিন জানান,গত শুক্রবার (২১-০৩-২৫) প্রতিবন্ধী মেয়ে আয়েশা খাতুন পারিবারিক ভাবে আশি হাজার একশত এক টাকা দেনমোহর ধার্য করে উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাউসা হেদাতি পাড়া গ্ৰামের জোনাল আলীর ছেলে মোবারক হোসেন এর সাথে বিয়ে দেন। বিয়ের পর গ্ৰামের রেওয়াজ অনুযায়ী মেয়ে জামাই বাড়িতে নিয়ে আসেন। জামাই মেয়ে তার বাড়ি থেকে যাবার একদিন পর মেয়েকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে। নববধূ উপজেলার বাজু বাঘা ইউনিয়নের আমোদপুর গ্ৰামের বাসিন্দা নাজিম উদ্দিন এর মেয়ে। জন্মের পর থেকে সে বাক প্রতিবন্ধী।

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার হাসিবুল ইসলাম জানান,দুই পায়ের হাঁটুর নীচে ছাড়াও আরো কয়েক জায়গায় ধারালো ছুরি দিয়ে কুপানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭মার্চ) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মহিলা ওয়ার্ডে গিয়ে তার পিতাকে বসে থাকতে দেখা যায়। জিজ্ঞাসায় ইশারা করে জানায় হাত পা বেঁধে তাকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। বাউসা হেদাতি পাড়ায় মোবারক হোসেনের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মা কিছু বলতে রাজি হননি।

অফিসার ইনচার্জ আফম আছাদুজ্জামান জানান, এবিষয়ে অভিযোগ হয়েছে। গ্ৰেফতারের চেষ্টা চলছে।

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *