জিয়াউর রহমানের উত্তরসূরি হিসেবে তারেক রহমান ৩১ দফা ঘোষণা করেন: সেলিমা রহমান

আন্তর্জাতিক লীড
বিশেষ প্রতিনিধি, ওয়াশিংটন ডিসি: রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯ দফার মাধ্যমে মাত্র তিন বছরের মধ্যে একটি তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ থেকে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে একটি আত্মনির্ভরশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। তারই উত্তরসূরি হিসেবে তারেক রহমান রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা ঘোষণা করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কতৃক ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফার উপর অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ৪ মে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ডাটা গ্রুপ অডিটোরিয়ামে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানকে হাসিনা সরকারের সময় নির্যাতন করে মেরে ফেলতে চেয়েছিলো কিন্তু সেই জিয়াউর রহমানের উত্তরসূরি হিসেবে সাড়ে ৮ হাজার মাইল দূরে থেকেই দলকে সুসংগঠিত করার চেষ্টা করে চলেছেন তারেক রহমান। আর সেই কারনে দেশ গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা ঘোষণা করেছেন।
সেলিমা রহমান আরও বলেন, ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেক অবদান আছে। তারা আন্দোলনের অংশ হিসেবে সেই সময় রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছিলো। তাই বলা চলে এই আন্দোলনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনেক ভূমিকা রেখেছেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন, নির্বাহী কমিটির সদস্য বেগম মেহেরুনেসা।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ভার্জিনিয়া বিএনপির সভাপতি জহির খান ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তোফায়েল, ওয়াশিংটন ডিসি বিএনপির সহ-সভাপতি কাজি রহমান, মিয়া মনজু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি বিএনপির সভাপতি প্রকৌশলী হাফিজ খান সোহেল। এটি সঞ্চালনা করেন ওয়াশিংটন ডিসি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী জাকির হোসেন।
সভাপতির বক্তব্যে প্রকৌশলী হাফিজ খান সোহেল বলেন, বিএনপি দেশের একটি কল্যাণকামী দল। তারা ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করেছিলেন খালেদাজিয়া। আমাদের মতো প্রবাসীদের কল্যানের জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ও গঠন করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। পরে তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করা হয়।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *