বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার শাজাহানপুরে গণহত্যার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করেছিলেন এক বিএনপি নেতা। বিষয়টি টের পেয়ে উপজেলার খড়ণা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবদুল করিমকে শোকজ করেছে তার দল।
রোববার উপজেলার খরনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাফিজার রহমান কাজল এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাই রনি স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবদুল করিম দীর্ঘদিন ধরে দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ না করা এবং দলীয় নীতিবিরোধী কাজে যুক্ত ছিলেন।
এছাড়া আওয়ামী দোসরদের প্রকাশ্যে বিএনপিতে পুনর্বাসনের চেষ্টাও অব্যাহত রাখার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এজন্য দল থেকে কেন তাকে বহিস্কার করা হবে না, তা লিখিতভাবে তিন কার্যদিবসের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।
শোকজের তথ্য নিশ্চিত করে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আবদুল করিম বলেন, ‘তোতা আমার এলাকার, আগে তিনি বিএনপির সঙ্গে ছিলেন। তার সংবাদ সম্মেলনে ছিলাম।’
শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এনামুল হক শাহীন বলেন, বিএনপি নেতা আবদুল করিম যে আওয়ামী লীগের দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন, তা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তার মতো আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়ে যারাই কাজ করবেন, তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে শাজাহানপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি তোতা মিয়া। এ সময় নিজেকে বিএনপির কর্মী হিসেবে দাবি করেন তিনি।
তিনি জানান যে, ২০১৭ সালে তিনি বিএনপির সদস্য টিকিট ক্রয় করেন। কিন্তু, ২০২১ সালের শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ কমিটির সহসভাপতি পদে আছেন তোতা। সংবাদ সম্মেলনে তার পাশেই বসা ছিলেন বিএনপি নেতা আবদুল করিম।
তোতা মিয়া বলেন, স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের পরামর্শে তিনি ওই সংবাদ সম্মেলন করেন।