দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পাবনায় ছাত্রলীগ নেতা মিলন বহিষ্কার

জাতীয় রাজশাহী

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমির সোহেল মিলনকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

গত মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মিলনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আমির সোহেল মিলন সাদুল্লাহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস মুন্সির ছেলে।

পাবনা সদর উপজেলার সাদুল্লাহপুরে গ্রাম কমিটি করা নিয়ে আওয়ামী লীগের বিবদমান দুগ্রুপের সংঘর্ষের জের ধরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

এ ঘটনায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ একটি তদন্ত কমিটি গঠন এবং অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য সাদুল্লাহপুর ইউনিয়ন কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করেছে।

তবে তার আগেই আমির সোহেল মিলনকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এদিকে আমির সোহেল মিলন বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। যারা আমার বাবাসহ অন্য নেতৃবৃন্দের ওপর হামলা করেছে, তাদের দেয়া মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতেই তাকে উল্টো শাস্তি দেয়া হলো। এসব ঘটনা নিয়ে সাদুল্লাহপুরে আওয়ামী লীগের বিবদমান দুগ্রুপের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মুন্সি অভিযোগ করে বলেন, গত রোববার রাতে শান্তিপূর্ণভাবে ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের গ্রাম কমিটি গঠন করা হচ্ছিল। অনুষ্ঠানে তিনি নিজেই সভাপতিত্ব করছিলেন।

হঠাৎ করেই ১৪-১৫ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে এবং বন্দুক দিয়ে গুলি করতে থাকে।

এতে তিনিসহ ১২ জন গুরুতর আহত হন। কুদ্দুস মুন্সিসহ আহতদের মধ্যে ৫ জনকে গুরুতর অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সংঘর্ষের পর দিন আতাইকুলা থানায় দুটি পাল্টপাল্টি মামলা করা হয়।

এ ব্যাপারে আমির সোহেল যুগান্তরকে বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

তিনি বলেন, যারা আমার বাবাসহ অন্য নেতৃবৃন্দের ওপর হামলা করেছে, তাদের দেয়া মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতেই তাকে উল্টো শাস্তি দেয়া হলো।

তিনি বলেন, দু’একটি মিডিয়ায় হামলাকারীদের দেয়া মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ হয় এবং ওই সংবাদের ভিত্তিতে আমাকে অন্যায়ভাবে শাস্তি দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমি বাদী হয়ে হামলাকারীদের ১২ জনকে আসামি করে আতাইকুলা থানায় মামলা করেছি।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মোশারফ হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহিন বলেন, ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা নিয়ে দুগ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনার পর আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি।

তদন্তের পর যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তদন্ত শেষ না হওয়া সাদুল্লাহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

আতাইকুলা থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, বিবদমান দুগ্রুপই মামলা করেছে। একটি মামলার বাদী আবদুল কুদ্দুস মুন্সির ছেলে আমির সোহেল মিলন।

এ মামলায় আবদুর রশিদসহ ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

অপর মামলাটি করেছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রশিদ। তিনি মিলনসহ ৬ জনকে আসামি করেছেন।

ওসি বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। তদন্ত মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম বলেন, দুপক্ষের অভিযোগই পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত শেষ হয়নি। এতে যেই দোষী হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সূত্র: যুগান্তর।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *