স্বদেশ বাণী ডেস্ক: পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজের ৩ দিন পর রোববার দুপুরে ধানক্ষেত থেকে মো. সাগর মুন্সির (২২) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ নিহতের খালাতো ভাই মো. আজাদ মোল্লাকে (১৯) আটক করেছে।
নিহত সাগর বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার সুতালরি গ্রামের আমজাদ মুন্সির ছেলে। তিনি ইন্দুরকানী উপজেলার পাড়েরহাটের উমেদপুর গ্রামের স্কুলছাত্র বহুল আলোচিত সালাউদ্দিন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি।
সাগর হত্যার ঘটনায় আটক নিহতের খালাতো ভাই আজাদ মোল্লা ইন্দুরকানী উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নের পূর্ব বাড়ৈখালী গ্রামের মৃত জলিল হোসেন মোল্লার ছেলে।
ইন্দুরকানী থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, প্রায় এক সপ্তাহ আগে ওই যুবক উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নের চর বাড়ৈখালী গ্রামে শ্বশুর নজরুল ইসলামের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরে গত শুক্রবার বিকাল থেকে নিখোঁজ হন মর্মে শনিবার বিকালে নিহতের শ্বাশুড়ি ফাহিমা বেগম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
স্থানীয়দের কাছে জিজ্ঞাবাদের এক পর্যায়ে নিহত সাগরের খালাতো ভাই আজাদকে আটক করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে হত্যা করে লাশ গুমের ঘটনা বলে। সে অনুযায়ী সাগরের লাশ উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নের দরিচর ইকর বুনিয়া গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ধানক্ষেতের মধ্যে তিন ফুট গভীর গর্তে মাটি চাপা দেয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
নিহত সাগরের শ্বাশুড়ি ফাহিমা বেগম জানান, ৭ থেকে ৮ মাস আগে সাগর ও তার খালাত ভাই এবং চড়িচর ইকরবুনিয়া গ্রামের স্বপন সিকদারের ছেলে লাভলু সিকদার ঢাকায় একটি কোম্পানিতে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করত। সে সময় লাভলু ওই প্রতিষ্ঠান থেকে একটি গ্যাসের সিলিন্ডার চুরি করে। সাগরের কাছে কর্তৃপক্ষ সিলিন্ডারের কথা জানতে চাইলে সে সিলিন্ডারটি লাভলু চুরি করেছে বলে জানায়।
এ ঘটনায় লাভলু কয়েক মাস আগে সাগরের উপর হামলা করেছিলা। গত শুক্রবার বিকালে সাগর দড়িচর ইকর বুনিয়া গ্রামে লাভলুর বাড়ি সংলগ্ন একটি দোকানে কলা বিক্রি করতে যায়। সেখান থেকে সাগর স্থানীয় বাড়ৈখালী বাজারের দিকে যাওয়ার সময় লাভলু ফের সাগরের উপর হামলা চালায়। এতে সাগর স্থানীয় একটি খালে পড়ে যায়। লাভলু সেখান থেকে সাগরকে উঠিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর থেকে সাগর নিখোঁজ থাকে।
গ্রেফতারকৃত আজাদ, লাভলু ও সাগর সম্পর্কে আপন খালাতো ভাই।
পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান জানান, সাগর নিখোঁজ হওয়ার পর তার শ্বাশুড়ি থানায় জিডি করেন। সে অনুযায়ী তদন্ত করে নিহতের খালাতো ভাই আজাদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার পর লাশ গুমের বিষয়টি বেরিয়ে আসে। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।
স্ব.বা/শা