স্বদেশ বাণী ডেস্ক: অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা মারা গেছেন। সোমবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে তিনি মারা যান।
বাংলাদেশ জার্নালকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান। খোকার মৃত্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোক জানিয়েছেন।
এর আগে নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটানের মেমোরিয়াল স্লোন কেটেরিং ক্যান্সার সেন্টারে চিকিৎসাধীন খোকার শারীরিক অবস্থা পরিবর্তনের আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তারপড়েও তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে উচ্চমাত্রার অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছিলো।
খোকার শেষ ইচ্ছে ছিল দেশে ফেরার, কিন্তু পাসপোর্ট না থাকার কারণে সেটিও সম্ভব হচ্ছিলো না বলেও জানিয়েছিলো তার পরিবারের সদস্যরা। ২০১৭ সালে খোকা ও তার সঙ্গে থাকা স্ত্রীর পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ কনস্যুলেটে তাদের পাসপোর্ট নবায়নের জন্য আবেদন করলেও নতুন করে আর পাসপোর্ট পাননি। এই অবস্থায় পাসপোর্ট না থাকায় দেশেও ফিরতে পারছিলেন না তারা।
এদিকে বিরোধী দলের রাজনীতি করলেও খোকার খোঁজ খবর নিচ্ছিলের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খোকার শেষ ইচ্ছার বিষয়েও তিনি অবহিত ছিলেন। সাদেক হোসেন খোকার শেষ ইচ্ছানুযায়ী যদি তাকে বাংলাদেশে সমাহিত করতে হয় তাহলে সেভাবে যেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় সে বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। সেই হিসেবে খোকার লাশ দেশে ফেরাতে উদ্যেগ নিচ্ছে সরকার।
প্রসঙ্গত, সাদেক হোসেন খোকা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বিএনপি করলেও আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক ছিল। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যখন দেশ পরিচালনায় আসেন তখন ঢাকার মেয়র ছিলেন সাদেক হোসেন খোকা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাকে সেই পদ থেকে অপসারণ করেননি। বরং দীর্ঘ ২ বছর তাকে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিয়েছিলেন। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।
স্ব.বা/শা