বাঘায় খেয়াঘাট সীমান্ত থেকে বালুঘাট ইজারাদারের বিরুদ্ধে বালি উত্তোলনের অভিযোগ !

রাজশাহী লীড

বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় ইজারা নেওয়া ফেরিঘাট সীমানায় অনুপ্র্রবেশ করে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খেয়াঘাটের সরকারি টোল না দিয়ে বালুঘাট ইজারাদারের বিরুদ্ধে বালি উত্তোলনের লিখিত এ অভিযোগ করেছেন খেয়াঘাট ইজারাদার মইদুল ইসলাম। রোববার (০২-১২-১৮) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করা হয়েছে।

সুত্রে জানা গেছে, ৫ লক্ষ ৬২ হাজার টাকায় উপজেলার কিশোরপুর -চৌমাদিয়া ফেরিঘাট ইজারা নিয়েছেন জাতীয় পার্টির বাঘা উপজেলা শাখার সভাপতি মহিদুল ইসলাম। অন্যদিকে ১ কোটি ২২ লক্ষ টাকায় কিশোরপুর মৌজার দক্ষিন-পশ্চিম অংশের শেষ সীমানায় .২৪ একর বালুমহাল ইজারা নিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক নেতা মেরাজুল ইসলাম মেরাজ। (যার খতিয়ান নং-০১ দাগ নং-১২১৭)। তিনি তার সীমানা অতিক্রম করে ফেরিঘাটের সীমানায় প্রবেশ করে পেশী শক্তির বলে নদীর তলদেশ থেকে হেবি ড্রেজার মেশিন দ্বারা বালি উত্তোলন করছেন। আর উত্তোলন করা বালি রাখা হচ্ছে ফেরিঘাটের পারাপার রাস্তায়। এতে চলাচল বিঘিœত হচ্ছে পথচারিদের। বিষয়টি ফেরিঘাট ইজাদারের নজরে এলে, বালুমহাল ইজারাদারকে নিষেধ করেন। এতে ইজাদারসহ তার পক্ষের লোকজনকে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়।

ইজারাদার মইদুল ইসলাম বলেন,আমার সীমানা থেকে বালি উত্তোলন করছে। কিন্তু আমাকে কোন টোল দিচ্ছেনা। প্রভাব খাটিয়ে সবকিছুই গায়ের জোরে করছে। নিষেধ করাই আমার লোকজনের বিরুদ্ধে চাাঁদা আদায়ের মিথ্যা অভিযোগ করেছে। তাই আইনগতভাবে ফেরিঘাট এলাকায় টোল আদায়ের দাবিসহ সীমানা অতিক্রম করে বালি উত্তোলন করতে না পারে সে বিষয়ে অভিযোগ করেছি।

মেরাজুল ইসলাম জানান, গত ৫ বছর ধরে ইজারা নিয়ে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে।এবার আমার নামে ইজারা নেওয়া হয়েছে। ইজারা শর্তে বলা নাই,ফেরিঘাট এলাকা থেকে বালি উত্তোলন করা যাবেনা। কিংবা টোল দিতে হবে। খেয়াঘাট ইজারাদার আমার কাছে টোল চাই। আমি এতে রাজি না হয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুই পক্ষকে তার কার্যালয়ে ডেকে পাঠিয়েছি। আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *