বাগমারা প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাগমারায় ৯৯৯ এ কল করে মৎস্যচাষীদের হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় ও ঘটনাসূত্রে জানা যায়, নরদাশ ইউনিয়নের কোলাবলি মৎস্য চাষ প্রকল্পে বিল ধারের প্রায় পাঁচ শতাধিক ভূমি মালিকের নিকট থেকে লিজ নিয়ে আড়াই শত শেয়ার হোল্ডার মৎস্য চাষ করছেন।
তাঁরা শুরু থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মৎস্য চাষ করে আসছেন। আজ রবিবার ভোর থেকে শেয়ার হোল্ডাররা
মৎস্য আহরণ করতে গেলে, হঠাৎ চন্ডীপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য সেকেন্দার আলীর ছেলে গোলাম মোস্তফা বিলের শেয়ার দাবী করেন। এবং মাছ ধরতে নিষেধ করেন। শেয়ার হোল্ডারদের দাবী আমরা মাছ লালন পালন করেছি যা বিল ধারের শত শত মানুষ জানেন, উনি (গোলাম মোস্তফা) নিষেধ করার কে ? এ নিয়ে গোলাম মোস্তফা বিভিন্ন দপ্তর সহ ৯৯৯ এ কল দিয়ে আমাদের হয়রানি করিয়েছেন।
পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন বর্তমানে মৎস্য চাষে গোলাম মোস্তফার সংশ্লিষ্টতা নাই।এর পর বিভিন্ন মহল থেকে বিল কমিটির উপদেষ্টা ও বর্তমান ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে তথ্য জানার অজুহাতে প্রায় শত খানেক বার কল দিয়ে বিরক্ত করতে থাকেন বলে সংবাদকর্মীদের জানান, ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম।
তিনি আরও জানান, অর্থ আত্মসাতের কারণে গোলাম মোস্তফাকে প্রায় বছর খানের পূর্বে বিল কমিটি বহিষ্কার করেন।
গোলাম মোস্তফার নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি ৯৯৯ এ কল দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, অর্থ আত্মসাথের অভিযোগ সঠিক নয়।এ বিষয়ে হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক নিঃ)হীরেন্দ্রনাথ প্রাং বলেন, যেহেতু বিভিন্ন দপ্তরে কল করা হয়েছে তাহলে উভয়পক্ষকে সতর্ক করার জন্য দু-চার বার কল দেয়া কী দোষের ? শুধু হাটগাঙ্গোপাড়া থেকে নয়, বাগামারা থানা থেকেও কল করা হয়েছে।
স্ব.বা/শা