সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে ‘ছায়া পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে সেই মাহিবুল রিফাত

রাজশাহী লীড শিক্ষা

আল-আফতাব খান সুইট, বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধিঃ নাটোরের বাগাতিপাড়ায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপণী (পিইসি) পরীক্ষা দেওয়ার তীব্র আকাংখা নিয়ে কেন্দ্রের গেট ধরে দাঁড়িয়ে থাকা সেই প্রতিবন্ধী মাহিবুল রিফাত অবশেষে ‘ছায়া পরীক্ষাথ দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।

সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো আবারও গেটে দাঁড়িয়ে থাকায় বাগাতিপাড়া উপজেলা প্রশাসন এ ছায়া পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রোববার প্রথম দিনেও পরীক্ষা দেওয়ার বাসনায় পুরো আড়াই ঘন্টা গেটে দাঁড়িয়ে ছিল রিফাত। বিষয়টি নিয়ে সোমবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

পেড়াবাড়িয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সমাজসেবা অফিসার রেজাউল করিম জানান, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরটি নজরে এলে সোমবার সকালে আবারও রিফাতকে গেটে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে ইউএনও প্রিয়াংকা দেবী পালের সাথে আলোচনা করেন। পরে রিফাতকে ইউএনও কার্যালয়ে ডেকে পরীক্ষার আদলে এক ছায়া পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।

সেই পরীক্ষা গ্রহন করা হবে শুধুই শিশু মনের মাহিবুল রিফাতকে সান্ত¦ণা দেওয়ার জন্য। তবে আইনি জটিলতার কারনে কোন মূল্যায়ণ করা হবে না বা ফলাফলও দেওয়া হবে না। তবে কোন নিয়মিত পরীক্ষার কেন্দ্রে নয়, সে পরীক্ষা দিবে পার্শ^বর্তী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিন স্মৃতি বাক, শ্রবণ ও অটিস্টিক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে। মঙ্গলবার থেকে এ পরীক্ষার সুযোগ পাবে সে।

রিফাতের বাবা কামরুল আহসান খান জানান, প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনের বাংলা বিষয়ের পরীক্ষা দেওয়ার জিদ ধরেছিল রিফাত। তাই উপায় না দেখে তাকে নিয়ে আবারও এসেছিলেন পিইসি পরীক্ষার কেন্দ্রে। স্কুল ড্রেস পরে পেড়াবাড়িয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের গেটে দাঁড়িয়ে একই কথা সে পরীক্ষা দিতে চায়।

উল্লেখ্য, উপজেলার নওশেরা মহল্লার শারিরীক ও মানসিক প্রতিবন্ধী রিফাত ডঃ এমদাদ খান ও ছেতেরা খান অর্কা কৃষি ও কারিগরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র। পরীক্ষা দেওয়ার শারিরীক ও মানসিক সক্ষমতা নেই ভেবে বাবা-মা এ বছর পরীক্ষার জন্য ডিআর ভুক্ত না করায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি সে।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *