নন্দীগ্রামে স্ত্রীর মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছে যৌতুকলোভী স্বামী মোরশেদুল

রাজশাহী লীড

বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী মোরশেদুল ইসলাম (২২) তার স্ত্রী মার্জিয়া আকতার রূপালীর (২০) মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ইউসুবপুর গ্রামের বাড়িতে তাকে মারপিটের পর মাথা ন্যাড়া করে ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল।

শুক্রবার সকালে পুলিশ মোরশেদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে। বিকালে রূপালীর মা মঞ্জুয়ারা বেগম থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। নন্দীগ্রাম থানার ওসি শওকত কবীর এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মোরশেদুল দাবি করেন, স্ত্রী বাড়িতে থাকতে চায়না। তাই সে যাতে লজ্জায় বাহিরে যেতে না পারে সে জন্য তিনি তাকে ন্যাড়া করে দিয়েছি।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ইউসুবপুর গ্রামের মোশাররফ হেসেনের ছেলে ট্রাকচালক প্রায় ৯ মাস আগে নাটোরের সিংড়া উপজেলার পাঁচপাকিয়া গ্রামের নিজাম উদ্দিনের মেয়ে মার্জিয়া আকতার রূপালীকে বিয়ে করেন।

রূপালীর মা মঞ্জুয়ারা বেগম জানান, বিয়ের সময় জামাইকে নগদ দেড় লাখ টাকা ও অন্যান্য জিনিস যৌতুক দেন। বিয়ের পর জামাই পাকা বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এ জন্য সে আরও দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছে। টাকা দিতে না পারায় স্বামী ও শাশুড়ি বেবি খাতুন তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত।
গত বুধবার দুপুরে রূপালীর হাত থেকে আচারের বয়াম পড়ে ভেঙে যায়। এ নিয়ে রূপালীর সঙ্গে শাশুড়ির ঝগড়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে মোরশেদুল বাড়ি ফিরে ঘটনা জানতে পেরে রূপালীকে মারধর করে। এরপর বাথরুমে নিয়ে ব্লেড দিয়ে তার মাথা ন্যাড়া করে দেয়।

এ সময় শাশুড়ি বাড়িতে ছিলেন না। তিনি ফিরে এসে রূপালীর চুলগুলো ফেলে দেন এবং তাকে ঘরে আটকে রাখেন। সুযোগ পেয়ে রূপালী মোবাইল ফোনে ঘটনাটি তার মা মঞ্জুয়ারা বেগমকে জানান।

শুক্রবার সকালে তিনি এসে গ্রামের লোকজনের সহযোগিতায় মেয়ে রূপালীকে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ মোরশেদুলকে গ্রেফতার করে, জানান রূপালীর মা।

নন্দীগ্রাম থানার ওসি শওকত কবীর জানান, নির্যাতিত গৃহবধূর মা মঞ্জুয়ারা বেগম দুপুরে থানায় জামাই, বেয়াই ও বেয়াইনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। গ্রেফতার মোরশেদুলকে শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *