বাঘায় ‘শিশুর পেটে আরেক শিশু’ : ধর্ষণ গ্রেফতার

রাজশাহী লীড

বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় অন্তঃস্বত্তা এক ছাত্রীর ধর্ষণ মামলায় ফার্নিচার মালিক আলাউদ্দিনকে (৩৪) আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাতে তাকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। আলাউদ্দিন উপজেলার গাওপাড়া গ্রামের আয়ুব আলীর ছেলে। আলাউদ্দিন বাঘা থানা মোড়ের আলাউদ্দিন ফার্নিচারের মালিক বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানায়, গত ৪ মাস আগে বাঘা উপজেলার তেঁপুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১০) উপজেলার গাওপাড়া গ্রামের আয়ুব আলীর ছেলে আলাউদ্দিন মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। এর এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে ওই ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে পার্শবতী প্রগোতী পার্কে নিয়ে ধর্ষণ করে। এর পর ওই ছাত্রী অন্তসত্তা হয়ে পড়ে।

৪ মাসের মাথায় পরিবারের লোকজন তার শরীরের গঠন ও জিজ্ঞাসাবাদের পর পরীক্ষা রিক্ষিা করে অন্তসত্তার বিষয়টি জানতে পারে। এর পর আলাউদ্দিনকে মোবাইল ফোনে বিয়ে করে পরিবারের মানসম্মান বাচানোর কথা বলা হয়। সে কোন ভাবে রাজি হয়না। নিরুপায় হয়ে গত ১৯ নভেম্বর ছাত্রীর নানা বাদি হয়ে বাঘা থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় আলাউদ্দিনকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। ওই স্কুল ছাত্রীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে মেয়ের মা জানান, আমার শিশু মেয়ের পেটে জন্ম নিয়েছে, আরেকটটি শিশু। এর কারণে সমাজ থেকেও ধিৎকার করা হচ্ছে। দুস্তিন্তায় আছি মেয়ের গর্ভের শিশুটি কোন পরিচয়ে বড় হবে। আমি এর সঠিক বিচার দাবি করছি।

অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, প্রথমমতঃ তার মোবাইল নম্বরের সুত্র ধরে তাকে সনাক্ত করা হয়েছে। এর আগে নাম ঠিকানা কিছুই বলতে পারেনি। আটকের পর আলা উদ্দীনকে শনিবার (২৩ নভেম্বর) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *