বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় এক শিক্ষকের বিচার দাবিতে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে মুখে প্রায় ১ ঘন্টা পরে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু করা হয়েছে। সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রকে বলৎকারের চেষ্টার ইস্যু নিয়ে পরীক্ষা বর্জন করে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। ঘটনার প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও অফিসার ইনচার্জ বিদ্যালয়ে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে অবশেষে শিক্ষক রুহল আমিনকে সাময়িক সাসপেন্ড করেন প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ প্রামানিক। প্রায় ১ঘন্টা পরে পরীক্ষায় অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। ঘটনার জের ধরে আরেক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (০৮-১২-১৮) সকাল ৯টায় উপজেলার কালিদাশখালি উচ্চ বিদ্যালেয়ে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাহি অফিসার শাহিন রেজা ও অফিসার ইনচার্জ মহসীন আলী। এদিকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় হেলাল ও বারিসহ কয়েকজনকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্যাম্পু সহ কয়েকজনের জনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেলেও বিষয়টি অস্বিকার করেছেন স্যাম্পু।
জানা গেছে,মঙ্গলবার (৪-১২-১৮) বার্ষিক পরীক্ষা শেষে দুুপুর ২টায় ওই বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র প্রকাশ কুমারকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে বলৎকারের চেষ্টা করে বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক রুহুল আমিন। এ সময় কৌশলে পালিয়ে এসে সহপাঠি ও ভাইকে জানায়। এনিয়ে পরের দিন বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে জড়ো হয়ে বিচার দাবি করা হয়। এ সময় রব্বেল ও আশিক নামের দুই ছাত্রকে মারধর করা হয় বলে দাবি করেন তারা। বিষয়টি তদন্ত করে শনিবার বসার কথা বলেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। পরে ওই ছাত্রের ভাই কিশোর কুমার রায় বাঘা উপজেলা নির্বাহি অফিসারের নিকট অভিযোগ করেন। ছাত্র প্রকাশ কুৃমারের বাড়ি উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামে।
টেষ্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা ওই ছাত্রকে দিয়ে এ ধরনের ইস্যু তৈরি করেছে বলে দাবি করেন শিক্ষক রুহুল আমিন। কারণ হিসেবে বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাকে বলেছিলেন,যারা তিনের অধিক বিষয়ে ফেল করেছে তাদের এসএসসি পরীক্ষায় এ্যালাও না করার জন্য।
রুহুল আমিনকে সাসপেন্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ প্রামানিক বলেন, আগেও এ বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ না করেই কিছু ছাত্র দলবদ্ধভাবে স্কুলের সামনে জড়ো হয়। পরে তারা ভেতরে প্রবেশ করে ভাংচুরের চেষ্টা করছিল। পরীক্ষা বিঘিœত হওয়ার আশংকায় তাৎক্ষনিক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ সদস্যদের জানান। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আক্কাছ আলী বলেন, ছাত্রের অভিভাবক তপন রায়কে ডেকে,শনিবার দুপুর ৩টায় ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে বসার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু একই ইস্যু নিয়ে সকালে আবারো আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা। সত্যতা পেলে ওই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হবে ।
ওসি মহসীন আলী জানান,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেছেন। এর আগে ছাত্রের পরিবার বলৎকারের কোনো অভিযোগ দেয়নি। উপজেলা নির্বাহি অফিসার শাহিন রেজা বলেন,পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষায় বিলম্ব হয়েছে। এর আগে এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান নির্বাহি অফিসার।