রাজশাহীর বাঘায় পুকুর খনন নিয়ে দু’পক্ষ উত্তেজনা, ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা

রাজশাহী লীড

বাঘা প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাঘায় আইন অমান্য করে পুকুর খনন করতে গিয়ে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছেন মালিক পক্ষ। উপজলা নির্বাহি অফিসার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা এ জরিমানা করেন। বুধবার অভিযানের পর বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়।

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুকুর খননের অভিযোগে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলামসহ সংগীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার বাউসা ফতেপুর গ্রামে অভিযান চালান উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিন রেজা। অবস্থার এক পর্যায়ে সটকে পড়েন পুকুর খননের সাথে সংশ্লিষ্টরা।

নির্বাহী অফিসার শাহিন রেজা বলেন, সেখানে ভ্যাকুর ড্রাইভার আজাদকে ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যায়নি। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী তারই জরিমানা করা হয়েছে।

জানা যায়, এর দুইদিন আগে বাউসা ফতেপুর গ্রামের আব্দুল মালেক ও টেনুর প্রামানিকের সমতল ফসলী জমি লিজ নিয়ে উত্তর ফতেপুৃর বাউসা গ্রামের আব্দুল করিমের সহায়তায় পুকুর খননের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বাজিতপুর গ্রামের নূরন্নবী। কয়েকটি গ্রামের পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হতে পারে, এমন আশঙ্কায় ব্যক্তিস্বার্থে পুকুর খননে বাঁধা দেয় এলকাবাসি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মালিককে ডেকে পুকুর খনন বন্ধ করে দেন স্থানীয় প্রশাসন।

বাঁধার মুখে পড়ে পুকুর খননের ড্রেজারটি সরিয়ে নিয়ে পুকুর খনন বন্ধ রাখেন তারা। এ ঘটনার দুই দিন পর পেশী শক্তির মহড়ায় বুধবার পূনরায় পুকুর খনন শুরু করেন। এনিয়ে তাদের মুখোমুখি হয় এলকাবাসি। এ সংবাদ পেয়ে সেখানে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট ,উপজলা নির্বাহী অফিসার শাহিন রেজা।

ফতেপুর গ্রামের সেকেন্দার আলী, সুলতান শেখ, রাশিদুল ইসলাম, মমিন উদ্দিন, মাসুদ রানা জানান, উত্তর ফতেপুর বাউসা গ্রামের আব্দল করিম, এজেন্ট মোল্লা, ফরহাদ আলী ও জহুরুল ইসলামসহ আরো কয়েকজনের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক লোকজন হাসুয়া ও লাঠিসোঠা নিয়ে সুড়ির জোলার বিলের সমতল জমিতে পুকুর খনন শুরু করে। এ সময় এলাকাবসি প্রতিবাদ করলে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জকে অবগত করা হয়। পরে তাঁরা ঘটনাস্থলে এসে পুকুর খনন কাজ বন্ধ করে দেয়।

ভ্যাকুটি বাউসা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফতেপুর গ্রামের সুলতান শেখের নিকট রাখা হয়। ফতেপুর গ্রামের মফিজুল ইসলাম জানান, ফতেপুর গ্রামের মাঠে ৩-৪ একর জমিতে পুকুর খনন করা হলে, ফতেপুর বাউসা, মাঝপাড়া বাউসা, পীরগাছা গ্রামসহ পাশের গ্রামের পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। জলাবদ্ধতার কারণে গ্রামের অনেক বাড়ি পানিতে ডুবে যাবে। এতে গ্রামবাসীর বসবাসসহ চলাচল কষ্ট কর হয়ে দাঁড়াবে। পাশাপশি মাঠের আবাদি ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হবে।

কিন্তু কিছু লোক ব্যক্তিস্বার্থে পুকুর খনন কাজ শুরু করে। এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করলে পুকুর খনন বন্ধ করে দেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করে পুকুর খননের ড্রেজার (ভ্যাকু) উঠিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম বলেন সেখানে যাওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *