মেহেরপুরে বোমা ভেবে ৩ দিন ধরে ‘বালুর প্যাকেট’ ঘিরে রাখল পুলিশ

জাতীয় লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: তিনদিন ঘিরে রাখার পর অবশেষে পুলিশ জানাল মেহেরপুরের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের সামনে সার্কিটযুক্ত বোমাসদৃশ বস্তুটি আসলে বোমা নয়, এটি বালুর প্যাকেট।

আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য ওই স্থানে বালুর প্যাকেটটি ফেলে রেখেছিল কেউ। বিষয়টি নজরে এলে গত বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) থেকে এটিকে ঘিরে রাখে পুলিশ।

শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন মেহেরপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম মুরাদ আলী।

এসপি এসএম মুরাদ আলী বলেন, শনিবার সকালে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছে এটি বোমা নয়, বালুর প্যাকেট। আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কেউ ব্যাগের ভেতর বোমাসদৃশ বস্তুটি ফেলে রেখেছিল।

তিনি বলেন, লাল স্কচটেপ দিয়ে মুড়িয়ে বোমাসদৃশ বস্তুটি তৈরি করা হয়। তাতে মোবাইল ব্যাটারি ও ইলেকট্রনিক যন্ত্র দিয়ে এমনভাবে রাখা হয়েছে যে কেউ দেখলে ইলেকট্রনিকস ডিভাইসযুক্ত বোমা বলে সন্দেহ করবে। এখনকার ঘটনাটি ছিল এমনই। আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য এমন কাজ করেছে কেউ।

এসপি এসএম মুরাদ আলী আরও বলেন, মূলত বোমাসদৃশ বস্তুর সঙ্গে ‘আল কায়েদা’ নাম দিয়ে লেখা একটি চিরকুট থাকার কারণে বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হয়। সেজন্য বোমা বিশেষজ্ঞ দলকে ডাকা হয়। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে আসতে দেরি করায় এটি নিষ্ক্রিয় সময় লেগেছে।  ‘’অবশেষে তারা আমাদের জানিয়েছে এটি বোমা নয়, বালুর প্যাকেট। আর এখানে ‘আল কায়েদার’ কোনো অস্তিত্ব নেই। এরপরও বিশষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখব আমরা। এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করবে পুলিশ।

গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেহেরপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের কর্মচারীরা গেটের পাশে প্রাচীরের সঙ্গে একটি ব্যাগে বোমাসদৃশ বস্তু দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশের একাধিক দল ঘটনাস্থলে এসে ব্যাগের ভেতরে একটি সার্কিটযুক্ত বোমাসদৃশ বস্তু দেখতে পায়। তারপর থেকে জায়গাটি ঘিরে রাখে পুলিশ। একই স্থান থেকে আনছারুল ইসলাস (আল কায়েদা) নামের একটি সংগঠনের হাতে লেখা চিরকুটও উদ্ধার করা হয়। সূত্র: জাগো নিউজ।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *