রাজশাহীর বিভিন্ন ইট ভাটায় দেদারসে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: ভাটায় ইট তৈরির জন্য জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করার কথা কয়লা। কিন্তুু রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় বেশির ভাগ ভাটাতে জ্বালানি হিসেবে কয়লার বদলে পুড়ছে কাঁচা গাছের খড়ি। নিয়ম নীতিমালার তোয়াক্কা না করেই বেশির ভাগ ভাটাতে কয়লার বদলে জ্বালানি হিসেবে প্রতিনিয়ত গাছ পালার খড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ১০ মন গাছ পালা খড়ি পুড়ছে এসব ইট ভাটায়। এতে পরিবেশের চরম ক্ষতি হচ্ছে এসব গ্রাম এলাকায়।

সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার ৭ নং দেওপাড়া ইউনিয়নের বেশ কিছু ইটভাটার মধ্যে ৮ নং ওয়ার্ডের চাপাল ধুতরাবুনা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স সোনা ব্রিকস্ এর সোনা ইটভাটা। ২ থেকে তিনজন পার্টনার মিলে পরিচালনা করে ইটভাটাটি। এর মধ্যে প্রোঃ মো. কামরুজ্জামান গোদাগাড়ি উপজেলার ব্যক্তি বেশি দেখাশোনা করেন ইটভাটাটি। ইটভাটাটি দেখা শোনার জন্য ম্যনেজার হিসাবে রয়েছেন তসিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি।

গত শুক্রবার উপজেলার ৭ নং ইউনিয়নের বেশ কিছু ইট ভাটার মধ্যে চাপাল ধুতরাবুনা এলকায় অবস্থিত সোনা ভাটায় গিয়ে দেখা যায় কয়লার বদলে পুড়ছে গাছ পালা কাঁচা খড়ি। অবৈধ ভাবে জালানি হিসেবে এসব গাছ পালা প্রতিনিয়ত ১০ মোনের বেশি খড়ি পুড়ছে ওই ভাটায়।

এসব বিষয়ে সোনা ভাটার ম্যনেজার তসিকুল ইসলাম বলেন, ইট ভাটায় খড়ি জালানি হিসাবে ব্যবহার করা অবৈধ বিষটি স্বীকার করেন তিনি। মালিকের নির্দেশে কয়লার বদলে এসব গাছ পালা খড়ি হিসাবে পোড়ানো হচ্ছে বলে জানান তিনি। গাছ পালা খড়ি হিসাবে প্রতিদিন প্রায় ১০ মোনের বেশি ইট ভাটায় জালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে গাছ কেটে কাঁচা খড়ি কমদামে ক্রয় করে ভাটায় জালানির হিসেবে ব্যবহার করা হয় বলে জানান তিনি। এক সময় তিনি এ প্রতিবেদক কে গোদাগাড়ি বাজারে ইটভাটার মালিকের চেম্বারে দেখা করার জন্য বলেন। আমাদের সব কাগজপত্র আছে। তাই আমরা খড়ি জালানি হিসাবে ব্যবহার করে থাকি। তবে ইট ভাটায় জালানি হিসাবে গাছপাড়ার খড়ি ব্যবহার করা যাবে এমন কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি।

এ বিষয়ে রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানান, রাজশাহী অঞ্চলে ইট ভাটায় কোন প্রকার গাছ পালা খড়ি জালানি হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না। অবৈধ ইট ভাটায় ভ্রামমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। যদি কোন ইট ভাটায় জালানি হিসাবে গাছ পালা খড়ি হিসাবে ব্যবহার করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, ইট প্রস্তুুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ সংশোধন আইন ২০১৯ এর ধারা ৮ (১) (ঘ) লঙ্ঘন করেছে গোদাগাড়ি উপজেলার চাপাল ধুতরাবুন গ্রামে অবস্থিত সোনা ইট ভাটা। দ্রুত ভ্রামমান আদালত পরিচালনা করা হবে। পরিবেশ রক্ষায় রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে জানান তিনি।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *