চুক্তি অনুযায়ী ওয়াজ না করে চলে যাওয়ায় জনতার রোষানলে মাওলানা মোঃ হাফিজুর রহমান সিদ্দিক (কুয়াকাটা)

জাতীয় লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: লালমনিরহাটের আদিতমারীতে মাত্র ৩২ মিনিট ওয়াজ করে হেলিকপ্টার ভাড়াসহ ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে গেলেন প্রধান বক্তা মাওলানা মোঃ হাফিজুর রহমান সিদ্দিক (কুয়াকাটা)। চুক্তি অনুযায়ী ওয়াজ না করে চলে যাওয়ার সময় উপস্থিত জনতার রোষের শিকারে পড়েন বক্তা।

ওই উপজেলার রূহানীয়া মাদরাসা মাঠে ৩ দিন ব্যাপী ইজতেমা ও ওয়াজ মাহফিলের গত রোববার ছিল শেষ দিন। মাওলানা মোঃ হাফিজুর রহমান সিদ্দিক (কুয়াকাটা) শেষ দিনের প্রধান বক্তা ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার রূহানীয়া মাদরাসা মাঠে ৩ দিন ব্যাপী ইজতেমা ও ওয়াজ মাহফিলের শেষ দিন ছিল রোববার। ওই ওয়াজ মাহফিলের প্রধান বক্তা মাওলানা মো. হাফিজুর রহমান সিদ্দিক (কুয়াকাটা)’র সাথে প্রায় এক বছর আগে চুক্তি করে টাকা দেয়া হয়। সে হিসাবে ওই সময় নগদ ৪০ হাজার টাকা বায়না দেয় কমিটি। চুক্তি ছিল ওয়াজের দিন বাদ জোহর থেকে রাত ১১টায় আখেরী মোনাজাত করে চলে যাবেন।

চুক্তি অনুযায়ী, ওয়াজ মাহফিলের কমিটি হেলিকপ্টারের ভাড়ার জন্য আরো ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন।

রোববার দুপুর সোয়া ২টার দিকে ঢাকা থেকে একটি হেলিকপ্টারে চড়ে রূহানীয়া মাদরাসা মাঠে নামেন প্রধান বক্তা হাফিজুর রহমান সিদ্দিক। এরপর আড়াইটার সময় ওয়াজস্থলে গিয়ে ওয়াজ শুরু করেন। মাত্র ৩২ মিনিট ওয়াজ করে মোনাজাত শেষে তড়িঘড়ি করে বালুচর মাঠে এসে হেলিকপ্টারে চড়ার সময় ওয়াজ কমিটি ও মুসল্লির জনরোষের শিকারে পড়েন বক্তা। সেখানে দেখা দেয় উত্তেজনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে মুসল্লিদের সরিয়ে দেয়। পরে হেলিকপ্টারে করে ঢাকার উদ্দেশে চলে যান ওই বক্তা।

জামিয়া কারীমিয়া রূহানীয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা আব্দুর রহমান বলেন, চুক্তি অনুযায়ী তিনি (হাফিজুর রহমান সিদ্দিক) ওয়াজ না করে দ্রুতসময়ে চলে যাওয়ার সময় স্থানীয় মুসল্লিরা বাধা দেয় এবং ক্ষিপ্ত হয়। তিনি (প্রধান বক্তা) আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। কোনো বছরই কোনো বক্তা এমন করেননি। তিনি আমাদের অনেক ক্ষতি করেছেন।

প্রধান বক্তা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তার একান্ত সহকারী রফিকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, রূহানীয়া মাদরাসা মাঠে তিন দিন ব্যাপী ইজতেমা ও ওয়াজ মাহফিলে মাঠে মুসল্লিদের নিরাপত্তায় বিপুল পরিমাণের পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। যে কারণে কোন বিশৃঙ্খলা ঘটেনি। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *