স্টাফ রিপোর্টার: “এসো গড়ি সম্প্রীতির বন্ধন” এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে গতকাল রোববার সকালে বাঁচার আশা সাংস্কৃতিক সংগঠনের জেলা পর্যায়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাঁচার আশা সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে এবং দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় নগরীর একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে ধর্মীয় সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ বিশেষ করে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর নিজ ধর্ম পালনে বাধা দূরীকরণ বিষয়ে এই সভা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাঁচার আশা সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি মোস্তফা সরকার বিজলী।
প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশ্হাী জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক হাসিনা মমতাজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন পবা উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াজেদ আলী খাঁন, দৈনিক সোনার দেশ পত্রিকার সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত ও রাজশাহী ব্লাস্ট এর সমন্বয়কারী এ্যাডভোকেট শামিমা বেগম।
এছাড়াও আপস এর নির্বাহী পরিচালক আবুল বাশার পল্টু, দূর্গাপুর ইউপি সদস্য মোস্তাক হোসেন, বাঁচার আশা সাংস্কৃতিক সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ মোখলেসুর রহামন, আলোর মিছিল নারী কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সুইটি ইয়াসমিন, দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি শফি আওয়াল ও মাহমুদা সুলতানা ও সচেতন এর সমন্বয়কারী মহসিন আলমসহ অন্যান্য সংস্থার নির্বাহী পরিাচলক এবং অত্র সংস্থার অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, হিজরা আসলে কারা সে বিষয়ে ধারনা নিতে হবে। তারা ছেলে হয়ে জন্ম গ্রহন করলেও পর্যায়ক্রমে হরমনের কারনে নারীর দিকে ঝুকে পড়ে। সে সময়ে পরিবার থেকে বিষয়টি মেনে নেয়না। বাড়ি থেকে তাদের বের করে দেয়। কিন্তু এই সন্তানরা যদি নারী হতে চায় তহালে সেদিকে যেতে দিতে পরিবারের প্রতি আহবান জানান। সেইসাথে নিজেদের কর্মক্ষম করে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ গ্রহন করার জন্য পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি বিভিন্ন বাড়ি, রেলওয়েতে এবং অন্যান্যস্থানে চাঁদাবাগি বন্ধ করার জন্য হিজরাদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, সরকার হিজারদের নাগরীক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং বিভিন্ন ধরনের ভাতা ও সুযোগ সুবিধা প্রদান করছেন। সরকারের এই সকল সুবিধাদি গ্রহন করার জন্য হিজরাদের পরামর্শ দেন প্রধান অতিথি।
স্ব.বা/শা