রাজশাহীতে পুলিশ সার্জেন্ট তৌহিদুল গড়ে তুলেছেন ক্যাকটাসের বাগান

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: শখ থেকেই সংগ্রহ শুরু ক্যাকটাস গাছের। সেটাকে পুঁজি করে রাজশাহীর এক পুলিশ সার্জেন্ট গড়ে তুলেছেন ক্যাকটাসের বাগান। শখ পূরণে তার সঙ্গী করেছেন আরও দু’জনকে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাগানে এখন চাষ করছেন তিনশ’ জাতের বেশি ক্যাকটাস।

লক্ষ্য তাদের দেশে দুই হাজার প্রজাতের সর্ববৃহৎ ক্যাকটাস সংগ্রহশালা গড়ে তোলা। প্রতিদিন তাদের এ বাগান দেখতে আসেন দর্শনার্থীরা।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সার্জেন্ট তৌহীদুল ইসলাম। অবসর সময়ে যত্ন নেন প্রিয় ক্যাকটাস গাছগুলোর। শুরুতে ভাড়া বাসার ছাদে শুরু করেছিলেন ক্যাকটাস সংগ্রহ। সংখ্যা বাড়লে আপত্তি তোলেন বাড়িওয়ালা।

কি করবেন এমন শঙ্কায়, খোঁজ পান আরও দুই ক্যাকটাস প্রেমী, বিপণন কর্মকর্তা বিভূতি ভূষণ ও নার্সারি মালিক ইসমাইল হোসেনের। পরে সবার সংগৃহীত গাছ দিয়ে নতুন ছাদ ভাড়া করে গড়ে তোলেন ক্যাকটাসের বাগান।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সার্জেন্ট তৈহীদুল ইসলাম বলেন, ক্যাকটাস গাছ তার কাটাগুলোকে অনেক সৌন্দর্যমণ্ডিত করতে পারে, আমরা যদি মানুষের গুণগুলোকে এমন করে সাজাতে পারতাম তাহলে সমাজটা কতসুন্দর হতো।

নতুন প্রজাতির ক্যাকটাস উদ্ভাবন ও রক্ষণাবেক্ষণে ডিউটি শেষে বাগানে আসেন তৌহিদুল। এ মরু উদ্ভিদ টিকিয়ে রাখতে পলিথিনের সেড নির্মাণ, গাছের কাঁটা পর্যবেক্ষণ ও মাটি পরিবর্তনসহ বিভিন্ন যত্ন নেন তিনি।

রাজশাহী সার্জেন্ট মেট্রোপলিটন পুলিশ তৈহীদুল ইসলাম বলেন, অফিস শেষ করে বাসায় এসে ছাঁদে যায়। ছাদ থেকে ঘরে যেতে রাত ১টা বেজে যায়।

মেয়ের সাথে পুলিশ সার্জেন্ট তৌহিদুল।

তিন বন্ধুর ছাদ বাগানে রয়েছে বিভিন্ন রঙ-বেরঙের সাড়ে তিনশ’ প্রজাতির ক্যাকটাস। এর মধ্যে শতাধিক বিলুপ্ত জাতও রয়েছে। সংগ্রহ বাড়াতে পারলে বছরে মোটা টাকা আয় সম্ভব বলে মনে করেন ক্যাকটাস প্রেমী বিপণন কর্মকর্তা বিভূতি ভূষণ সরকার।

ক্যাকটাসের বিভিন্ন জাত ও রঙ-বর্ণের ভিন্নতা থাকায় অনেকেই আসেন এই ছাদবাগান পরিদর্শনে।

তিন বছরের পুরনো এ বাগানে খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা। আর বাগানে গাছ আছে প্রায় ২০ লাখ টাকার। সূত্র: সময় সংবাদ।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *