স্বদেশ বাণী ডেস্ক: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার অপারেশন প্লানের নির্মাণকৃত সিরাজগঞ্জের রতনকান্দি ইউনিয়নে গজারিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
তৃণমূল পর্যায়ে গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ১৯৯৮ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে নামে প্রতিটি ক্লিনিকের নামে স্থানীয়দের দানকৃত ৫ শতাংশ জমিতে স্থানীয় ৬ হাজার মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সারাদেশে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করেন।
২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় এলে এই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেয়। ক্ষমতার পালাবদলে ২০০৯ সালে পুনরায় আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো পুন:জ্জীবিত করেন তোলেন এবং বর্তমানে তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে আসছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জ- কাজিপুর আঞ্চলিক সড়ক সংলগ্ন গজারিয়াতে আব্দুল মান্নান তালুকদার দানকৃত ৫ শতাংশ জমিতে গড়ে উঠেছে গজারিয়া কমিউনিটি ক্লিনিক। কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবনটি ২.৫ শতাংশ জায়গায় রয়েছে বাকি .৫ শতাংশ জায়গা ক্লিনিকের দুই পাশে এবং ২ শতাংশ জায়গা ক্লিনিকের পিছনে রয়েছে। ক্লিনিকের পিছনে প্রায় ২ শতাংশ জায়গা দখল করে মোতাহার হোসেন তালুকদার হোমিও প্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভবন নির্মাণের কাজ চলছে।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ডা. আবুল হোসেন সন্টু বলেন, আর এস ৬৩৮ দাগে গজারিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের নামে কোন জমি নেই। ক্লিনিকের নামে কোন জমি না থাকায় জমি দখল করে ভবন নির্মাণের কোন প্রশ্নই আসে না।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা: নূরে জান্নাত স্বপ্না বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, গজারিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি (ইনচার্জ) মোছা: তাসলিমা খাতুনের অভিযোগের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন মহোদয়কে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সিভিল সার্জন মহোদয় যে সিদ্ধান্ত দিবে সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজ করব।
সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ক্লিনিকের জমি দখল করে ভবন নির্মাণের বিষয়ে অবগত হয়েছি। যারা ভবন নির্মাণ করছে তাদের সাথে কথা হয়েছে। তারা বলছে, নির্মিত গজারিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের নামে সেখানে কোন জমি নেই। জমির সকল কাগজপত্র দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।
স্ব.বা/শা