রাজশাহীর সবকটি আসনই প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেয়ার ঘোষণা নেতাদের

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে রাজশাহীর সবকটি আসনে জয়ী হয়ে এ বিজয় প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রার্থিরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজশাহীর ছয় আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থিদের জনগণের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে গেলে তারা প্রধানমন্ত্রীকে এই প্রতিশ্রুতি দেন।

ভিডিও কনফারেন্সে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে সংযুক্ত হন। এখানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীসহ জেলার ৯ উপজেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ভিডিও কনফারেন্সের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী তাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন।

তিনি বলেন, ধারাবাহিকভাবে ২০০৮ সাল থেকে আমরা জনগণের সেবা করে যাচ্ছি। গত নির্বাচনেও আমরা দেখেছি যে কীভাবে বিএনপি-জামায়াত জোট মিসলে নির্বাচন ঠেকানোর জন্য অগ্নিসংযোগ শুরু করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সাধারণ মানুষকে রাস্তায় ফেলে পিটিয়ে মারে। মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করার মতো জঘন্য ঘটনা তারা ঘটিয়েছিল নির্বাচন ঠেকানোর জন্য। ৫৮২টি স্কুল তারা পুড়িয়ে দেয়, ৭০ সরকারি অফিস পোড়ায়, ছয়টা ভূমি অফিস পোড়ায়। এভাবে তারা সরকারি সম্পদ পুড়িয়ে ধ্বংস করে। মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে তারা অট্টহাসি হাসে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই রাজশাহীতে তারা বাংলা ভাই সৃষ্টি করে, মদদ দিয়ে প্রকাশ্যে মিছিল করার সুযোগ করে দেয়। তারা জঙ্গিদের ব্যবহার করে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে তারা হত্যা করেছে। একটার পর বোমা হামলা চালিয়েছে। তাদের এসব অপকর্মের জবাব দিয়ে জনগণ ২০১৪ সালের নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছে। তাই জনগণের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই, আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

তিনি বলেন, গত নির্বাচনে আমরা নির্বাচনি ইশতেহারে যে সমস্ত ঘোষণা দিয়েছিলাম একে একে সবগুলো বাস্তবায়ন করেছি। আওয়ামী লীগ নির্বাচনি ইশতেহারটা কখনও ভুলে যায় না। সেটা সাথেই থাকে। প্রতি বছর আমরা যখন বাজেট দেই তখন ইশতেহার অনুযায়ী জনগণের প্রত্যাশা করি। ক্ষেত্রেবিশেষে আমরা তার চেয়েও অনেক বেশি কাজ করেছি। প্রায় ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে আমরা ৯৩ ভাগ মানুষের বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামীতে সরকার আসতে পারলে প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছাবে। প্রত্যেকটা ঘর আলোকিত হবে। আমরা সেইভাবে পরিকল্পনা ইতিমধ্যে গ্রহণ করেছি। আমরা বিনামূল্যে বই দিচ্ছি ছেলেমেয়েদেরকে, আমরা বৃত্তি দিচ্ছি পড়াশোনার জন্য। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকার ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি। আমরা প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দারিদ্র্যের হার ২১ ভাগ এসেছে। আগামীবার ক্ষমতায় আসতে পারলে আমরা অন্তত আরও চার-পাঁচ হ্রাস করে বাংলাদেশকে দারিদ্রমুক্ত করব। হতদরিদ্র কেউ থাকবে না। আমরা বয়স্কভাতা-বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধীদের ভাতা-বিভিন্ন ধরনের ভাতা দিয়ে মানুষকে সহযোগিতা করেছি। ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলব, আজ বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। আজকে আপনাদের সঙ্গে যে কথা বলছি, এটাও কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশের অবদান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের যুবসমাজের জন্য ন্যাশনাল সার্ভিসের মাধ্যমে ট্রেনিং দিচ্ছি, আবার কর্মসংস্থানের জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংক তৈরি করে দিয়েছি, যেন বিনা জামানতে দুই লাখ টাকা ঋণ নিতে পারে। তারা যেন ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারে সেই সুযোগটাও আমরা সৃষ্টি করে দিয়েছি। তিনি বলেন, ১০০টা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করে সেখানে ব্যাপকহারে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পদক্ষেপ নিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতি উপজেলায় আমরা মসজিদ করে দিচ্ছি। ৫৬০টা মসজিদ আমরা তৈরি করব এবং ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে। পাশাপাশি আমরা প্রতিটি উপজেলায় একটা করে মিনি স্টেডিয়াম হবে। কয়েকটির কাজ শুরু হয়েছে, যাতে ছেলেমেয়েরা খেলাধুলার প্রতি মনোযোগী হয়।

রাজশাহী অঞ্চলেও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কর্মসংস্থান যেন বৃদ্ধি পায়, ব্যবসা-বাণিজ্য যেন উন্নত হয় সেদিকে আমরা দৃষ্টি দিচ্ছি। পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে রাজশাহী শহর রক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছি। সেখানে সুপেয় পানির ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। আলাদা রাস্তা করে দিয়েছি যেন যোগাযোগ সহজ হয়। এভাবে বহুমুখি উন্নয়ন পরিকল্পনা আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। কারণ, আমরা ক্ষমতায় এলে সকল এলাকার মানুষ যেন উন্নয়ন পায় সে পদক্ষেপ আমরা নিয়ে থাকি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট মহাকাশে পৌঁছে গেছে। আমর মহাকাশ জয় করেছি। যেমন আমরা সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি। স্থলসীমানা চুক্তি বাস্তবায়ন করেছি। পানির নায্য হিস্যা আদায় করেছি। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই জনগণের জন্য আমরা কাজ করে গেছি। আগামীতেও আমরা এভাবে জাতির উন্নয়নে কাজ করে যেতে চাই। আবার ক্ষমতায় এলে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ব।

তাই আসন্ন নির্বাচনে নৌকায় ভোট চেয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, আমরা ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করব। ২০২১ সালে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব। অর্থাৎ ২০২০ এর মার্চ মাস থেকে ২০২১ এর মার্চ মাস, আমরা এই বর্ষটাকে ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছি। আমরা যেন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করতে পারি সেই সুযোগটা আমরা চাই এবং তার জন্যই নৌকা মার্কায় ভোট চাই।

‘নৌকা মার্কায় ভোট চাই, কারণ আজকে যে উন্নয়নের ধারাটা আমরা সূচনা করেছি, এই রাজশাহী শুধু শহর বা জেলা নয়, গোটা বিভাগে বা সমগ্র বাংলাদেশে আমরা যে ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি তা যেন বাস্তবায়ন করতে পারি। ‘৯৬ সালে আমি কমিউনিটি ক্লিনিক যখন শুরু করেছিলাম, মানুষ তার সুফল পেতে শুরু করেছিল, বিনাপয়সায় চিকিৎসা পেত, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে তা বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা প্রত্যেকটা জেলাকে নিরক্ষরতামুক্ত করে যাচ্ছিলাম। খালেদা জিয়া এসে তা বন্ধ করে দেয়। এমন দৃষ্টান্ত অনেক দিতে পারব।’

শেখ হাসিনা বলেন, রাজশাহী এয়ারপোর্টও তারা বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা তা আবার চালু করেছি। এই এয়ারপোর্ট আমরা আরও উন্নত করব, সেই পরিকল্পনা নিয়েছি। সার্বিকভাবে আমরা দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। উন্নয়নের ধারাটা যদি অব্যাহত রাখতে হয়, তাহলে অবশ্যই নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার জন্য আমি আহ্বান জানাই। আমাদেরকে ভোট দিলেই আমরা এসব করতে পারব।

গত সিটি নির্বাচনে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে মেয়র নির্বাচিত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহী মহানগরবাসীকে ধন্যবাদ জানান। বলেন, যেভাবে আপনারা আমাদেরকে মেয়র উপহার দিয়েছেন, ঠিক সেইভাবেই আমাদের আগামী নির্বাচনে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেবেন। এরপর তিনি একে একে রাজশাহীর নৌকা প্রতীকের প্রার্থিদের পরিচয় করিয়ে দেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই রাজশাহী সিটি মেয়র ও মাদ্রাসা ময়দানের সমাবেশের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে কথা বলেন। লিটন বলেন, আজকে সর্বত্রই সর্বকাজে অনেক দ্রুতই উন্নত বিশ্বের কাতারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। আমাদের রাজশাহী কৃষিপ্রধান এলাকা। এখানে উত্তর রাজশাহী সেচপ্রকল্প, এখানে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, এখানে একটি বিমানবন্দর, সেটি আন্তর্জাতিকমানের করা, রাজশাহী-ঢাকা বিরতিহীন ট্রেন-এটি খুবই জনপ্রিয় দাবি। পদ্মা নদীর ক্যাপিটাল ড্রেজিং আপনি করছেন, কাজ শুরু হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক, খুব চমৎকারভাবে কাজ চলছে। নতুন বিসিক ও চামড়া শিল্প এলাকা হচ্ছে। এরপর গোদাগাড়ীতে একটি ভেটেরিনারি কলেজ এবং পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় হলে আমরা অনেকদূর এগিয়ে যাব।

রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, এটা বিজয়ের মাস। নিশ্চয় আগামী ৩০ তারিখে রাজশাহীর ছয়টি আসন থেকে আপনাকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানাতে পারব। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও আসন্ন নির্বাচনে ১৪ দল মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার সঙ্গে কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাদশা বলেন, জনগণের সঙ্গে যখন আমরা কথা বলছি, তারা বলছে- জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আগামীতেও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। সারাদেশে উন্নয়ন এবং নৌকার পক্ষে জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিজয় আমাদের অনিবার্য। রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের প্রার্থী আয়েন উদ্দিন এমপি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, পবা-মোহনপুরে যা দিয়েছেন, তার জন্য এলাকার জনগণ নৌকায় ভোট দেয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। নির্বাচনে আমরা রাজশাহীর ৬টি আসনেই আপনাকে বিজয় এনে দিব। প্রমাণ করে দিব, রাজশাহীর মাটি নৌকার ঘাঁটি।

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি বলেন, যে বাগমারায় বিএনপি-জামায়াত জঙ্গি তৈরি করেছিল সেই বাগমারায় আপনি শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিয়েছেন। আপনার উন্নয়ন ও আমাদের সাংগঠনিক শক্তির কারণে বিপুল ভোটে এখানে নৌকা বিজয়ী হবে। এরপর কথা বলেন রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের নতুন প্রার্থী ডা. মনসুর রহমান।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালে যেমন নৌকার জোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল, এবারও তাই হয়েছে। এটা সরকারের ১০ বছরের উন্নয়নের অবদান। সবার শেষে কথা বলেন রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট আসনের প্রার্থী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, তৃণমূলের জোয়ারে নির্বাচনে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত। এটা শুধু রাজশাহী-৬ নয়, রাজশাহীর ছয়টি আসনেই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে বসেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও নড়াইল-২ আসনের নৌকার প্রার্থী মাশরাফি বিন মুর্তজা। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হয় না। কারণ এখানে ফাইভ স্টার হোটেল নেই। আমরা ভোটের পর নিজেদের উদ্যোগে ফাইভ স্টার হোটেল করব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্টেডিয়ামটাও উন্নয়ন করতে হবে। সেটা আমাদের করতে হবে। তাহলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হবে।

ভিডিও কনফারেন্সের রাজশাহীর সমাবেশের সঞ্চালক মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার ও জেলার সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের সঙ্গেও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারা বলেন, না চাইতেই প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীতে অনেক কিছু দিয়েছেন। নেতাকর্মীরাও ঐক্যবদ্ধ আছে। আসন্ন নির্বাচনে সবাই মিলে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করবে।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আখতার জাহান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিনাতুন নেশা তালুকদার, সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. সাইদুর রহমান খান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার, মেয়র লিটনের সহধর্মিনী সমাজসেবী শাহিন আক্তার রেণী, সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার সহধর্মিনী তসলিমা খাতুন প্রমুখ।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *