বারমুডা রহস্যময় ব্যাখ্যা

চারণ সংবাদ

ফ্লোরিডা, পুয়ের্তো রিকো এবং বারমুডা দ্বারা বেষ্টিত আটলান্টিক মহাসাগরের ৫ হাজার বর্গকিলোমিটারের একটি রহস্যময় অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই জায়গায় বেশ কয়েকটি জাহাজ এবং বিমান রহস্যজনকভাবে অদৃশ্য হয়েছে। প্রতি বছর গড়ে চারটি বিমান এবং ২০টি জাহাজ নিখোঁজ হয় এখানে। অনেক সময় আবহাওয়া শান্ত থাকা সত্ত্বেও কোনোরকম বিপদের বার্তা না পাঠিয়েই এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে জাহাজ ও বিমান নিখোঁজের ঘটনাও ঘটেছে।

ওইসব জাহাজ ও বিমান নিখোঁজ হওয়ার অধিকাংশেরই কোনো ব্যাখ্যা মানুষের কাছে ছিল না। অনেকেই এই নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টিকে ভৌতিক কারণ মনে করতো। বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের সেই রহস্যই এবার উন্মোচিত হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে বিনা কারণেই এখানে জাহাজ অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার একটি বড় কারণ হতে পারে প্রাকৃতিক বিষয়। মূলত দৈত্যাকার ঢেউয়ের মধ্যে হারিয়ে যায় জাহাজ এবং বিমান। এই ঢেউগুলো এতো বিশাল যে আকাশে উড়ে যাওয়া বিমানকেও গ্রাস করে ফেলে নিমিষেই। ইউনিভার্সিটি অব সাউথাম্পটনের একটি দল বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের এই রহস্য উদঘাটনে দীর্ঘদিন গবেষণা করে এই ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

গবেষকদের ধারণা, এই ঢেউগুলো ১০০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতার হয়ে থাকে। কোনো জাহাজ এই ঢেউয়ের মুখে পড়লে কোনোভাবেই আর রক্ষা পাওয়ার উপায় থাকে না। গবেষণার অংশ হিসেবে তারা ১৯১৮ সালে বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে নিখোঁজ হওয়া ৫৪২ ফুট লম্বা কয়লা বোঝাই ইউএসএস সাইক্লোপস জাহাজটির একটি মডেল তৈরি করেন। একইসাথে মডেল ঢেউও সৃষ্টি করেন। পরবর্তীতে সেই ঢেউয়ের মাঝে মডেল জাহাজটিকে ফেলে দেখা যায় ঢেউয়ের মধ্যে অনায়াসেই ডুবে যায় জাহাজটি।

ইউনিভার্সিটি অব সাউথাম্পটনের সমুদ্র এবং মৃত্তিকা বিজ্ঞানী ড. সিমোন বোক্সাল বলেন, মূলত বারমুডা, ফ্লোরিডা এবং পুয়ের্তো রিকোর প্রত্যেকটি দিক দিয়ে ঢেউ এসে ওই নির্দিষ্ট অঞ্চলে যখন মিলিত হয় তখন বিশাল আকার ধারণ করে। ঝড়ের মধ্যে ঢেউগুলো ভয়াবহ রূপ নেয়। উত্তর দিক এবং দক্ষিণ দিক থেকে আসে তীব্র ঝড়। ওই ঝড়ের সাথে যখন আবার ফ্লোরিডার দিক থেকে ঝড়ো বাতাস এর সাথে মিলিত হয় তখন তা রুদ্ররূপ নেয়। ঢেউগুলো ৩০ মিটার পর্যন্ত উচ্চতার হয়ে থাকে।-এক্সপ্রেস।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *