স্বদেশ বাণী ডেস্ক: পরকীয়ার জেরেই মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় জোড়া হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় ভাবি-ভাতিজাকে হত্যা করেছেন সোলাইমান। শুক্রবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল রাফিন সুলতানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
জবানবন্দিতে সোলাইমান জানান, তিনি মালয়েশিয়ায় থাকতেন। মেজ ভাই প্রবাসী মজনুর স্ত্রী পারভীনের সঙ্গে তার প্রেম ছিলো। তিন মাস আগে তিনি দেশে ফেরার পর তাদের ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়ে।
তিনি আরও জানান, ঘটনার রাতে সবাই ঘুমানোর পর পারভীনের ঘরে ঢোকেন তিনি। এরপর তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এক পর্যায়ে পারভীন তাকে বিয়ে জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। সোলাইমান দুই ভাতিজার কথা ভেবে বিয়েতে রাজি হননি।
বিয়েতে রাজি না হলে নিজের স্বামী-সন্তান ও সোলাইমানকে হত্যার হুমকি দেন পারভীন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সোলাইমান ঘরে থাকা ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন পারভীনকে। ওই সময় ভাতিজা নূর জেগে ওঠায় তাকেও একইভাবে হত্যা করেন তিনি। এরপর রক্তমাখা ছুরি ও পোশাক ধুয়ে নিজ ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
বৃহস্পতিবার সকালে সাটুরিয়ার উত্তর কাউন্নারা গ্রামের সৌদি প্রবাসী মজনুর স্ত্রী পারভীন আক্তার ও ছেলে নূর হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সাটুরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম জানান, হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সোলাইমানের জড়িত থাকার বিষয়টি জানা গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে ভাবি-ভাতিজাকে হত্যার দায় স্বীকার করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার দুপুরে আদালতে সোলাইমানের জবানবন্দি নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত পারভীনের মা হত্যা মামলা করেন। বৃহস্পতিবার রাতে নিহতদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সূত্র: পূর্বপশ্চিমবিডি।
স্ব.বা/শা