কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নের পথিকৃত শহীদ জিয়া: মিনু

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। বাংলাদেশের উন্নয়নের একমাত্র চাবিকাঠি কৃষি। এই কৃষি ছিল এক সময়ে উপেক্ষিত। বেশীরভাগ কৃষকরা না খেয়ে দিনাদিপাত করতেন। দেশের উন্নয়নে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসূচী ঘোষনা করেন।

এরমধ্যে কৃষি ছিল অন্যতম। কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের নানা ধরনের পদক্ষেপ নেন তিনি। তিনিই ছিলেন বাংলার কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের একমাত্র পথ প্রদর্শক। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মহানগর কৃষক দলের প্রতিনিধি সভায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহমান মিনু প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ৩৯ বছর পূর্বে কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা এবং তাদের উন্নয়নের জন্য কৃষক দল গঠন করেছিলেন। কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়নে তিনি খাল খনন করেছিলেন। সেইসাথে বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকদের উন্নয়নে গভীর নলকুপ স্থাপনের ব্যবস্থা করেছিলেন। এছাড়াও কৃষিতে সব থেকে বেশী ভূর্তকী এবং সুলভ মুল্যে কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবস্থাসহ সার ও কীটনাশকের মূল্য কৃষকের নাগালের মধ্যে রেখেছিলেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

কিন্তু বর্তমান সরকার কৃষকদের ধ্বংশ করে দিয়েছে। উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য না পেয়ে কৃষকরা পথে বসতে শুরু করেছে। অনেক কৃষক কৃষি কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছেন। ধানের দাম না পেয়ে কৃষকরা রাস্তায় ফেলে দিয়েছে। এছাড়াও এই সরকার সরকারীভাবে ধান ক্রয় করার নামে প্রহসন করছে বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন মিনু। তিনি বলেন, সরকারের অনুসারী ও এই দুর্নীতিবাজ সরকারের ঘনিষ্ট সঙ্গী মাত্র দুই লক্ষ মানুষ এখন ভাল আছে।

বাঁকী মানুষ মারাত্মক অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু হয়েছে। বর্তমান সরকারকে গণতন্ত্র হত্যাকারী, দুনীতিবাজ, বাকরুদ্ধকারী ও ডে-নাইট সরকারে উপাধি দেন তিনি। তিনি আরো বলেন, এই সরকারের দোসররা মেগা প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করলেও তাদের কোন বিচার হয়না। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া কোন প্রকার দুর্নীতি না করেও সম্পূর্ন রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে এই অবৈধ সরকার মিথ্যা মামলায় সাজা প্রদান করে কারাগারে রেখেছে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়াকে আর বেশীদিন কারাগারে আটকে রাখতে পারবে না। দেশব্যাপি বেগম জিয়ার মুক্তির আন্দোলন ডানা বেধে উঠছে। এই আন্দোলনে কুষক দলকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহবান জানান মিনু।

কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহানগর কৃষক দলের নয়া আহবায়ক ওয়াদুদ হাসান পিন্টুর সভাপতিত্বে সভা উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিভাগীয় কৃষক দল ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক নূর আফরোজ জ্যোতি। সভা পরিচালনা করেন মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি।

এছাড়াও বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সহিদুন্নাহার কাজি হেনা, মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউল হক রানা, এ্যাডভোকেট রইসুল ইসলাম, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন উজ্জল, কৃষক দল রাজশাহী বিভাগীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সামছুর রহমান শামস, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম, চাপাইনবাবগঞ্জ কৃষক দলের সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট ফুরকান হাবিব, নাটোর জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব কাজী বাবলু, মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, সহ-সভাপতি সুলতান আহম্মেদ, মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান টিটো, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ বিন তারেক, সাংগঠনিক সম্পাদক আনন্দ কুমার, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী জ্যাকি, রাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহম্মেদ রাহী, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম কুসুমসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্য শেষে ওয়াদুদ হাসান পিন্টুকে আহবায়ক, গোলাম সাকলাইন ইকোকে সদস্য সচিব, আনোয়ার জাহিদ ও রবিউল ইসলাম ডলারকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করে মোট ১৫ সদস্য বিশিষ্ট রাজশাহী মহানগর কৃষক দলের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

অন্যান্য সদস্যরা হলেন, মোখলেসুর রহমান খোকন, মশিউর রহমান মশি, আসাদুজ্জামান কটা, আবু বাক্কার, শফিকুল আলম জিতু, মুনজুর রহমান জাহাঙ্গীর, হৃদয় শেখ মহোন, কাজী সালাউদ্দিন মিঠু, রবিউল ইসলাম, দুলাল হোসেন ও গোলাম মোহাম্মদ মোজতবা সালাম রোজ।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *