বাঘায় কাদামাটি দিয়ে কালভার্টের ফাঁটল ঢাকলো ঠিকাদার

রাজশাহী লীড

বাঘা প্রতিনিধি: সরকার চাচ্ছেন টিকসই উন্নয়ন। এজন্য বর্তমান সরকার প্রধানের নির্দেশে জেলা উপজেলায় সভা করে কাজের মান ভালো করার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু এসব নিয়ম মানছে না ঠিকাদার ও রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা।

যার কারণে কাজ শেষ হতে না হতেই দেখা দিয়েছে ফাঁটল। আর তড়িঘড়ি করে নির্মিত কালভার্টের ফাঁটল ঢেকে দেওয়া হয়েছে কাঁদা মাটি দিয়ে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারী) সরেজমিনে এমন দৃশ্য দেখা গেল রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মশিদপুর পদ্মার পাড় ঘেঁষে নির্মিত পানি নিষ্কাশনের একটি কালভার্টে (সেতু)।

সেখানকার সাধারণ মানুষ অভিযোগ করে বলেছেন, যে নিয়মে কাজ করার কথা তা করা হয়নি। নামমাত্র ডোমার বালির সাথে চিকন বালু মিশিয়ে কাজ করতে দেখা গেছে। পাথর আর সিমেন্ট এর পরিমাণ জানতে চাইলে তা বলেননি ঠিকাদার কিংবা তার কাজের রক্ষাবেক্ষনকারী।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে এই কাজের তদারকি কর্মকর্তার (প্রকৌশলী) সামনেই এমন ফাঁকি বাজি কাজ করতে দেখেছেন বলেও জানান স্থানীয়রা। যার সত্যতার কিছু নমুনা পাওয়া যায় কালভার্টের পাশে রাখা পাথর ও বালু দেখে।

জানা জানা যায়, রাজশাহীর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে প্রায় ৩৪ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মা পাড়ের পানি নিষ্কাশনের কালভাটটি। যার কাজ প্রায় শেষের পথে। এরমধ্যে দেখা দিয়েছে ফাঁটল। আর এই ফাঁটলটি তড়িঘড়ি করে ঢেকে দেয়া হয়েছে কাঁদা আর মাটি দিয়ে।

স্থানীয়রা জানান, নিয়ম অনুযায়ী কালভার্টের পাশে গর্তগুলো ভরাট বালু দিয়ে পূরণ করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। এছাড়া ব্যবহার করা হয়েছে, নিন্মমানের নির্মান সামগ্রী। রডের পরিমাপ ঠিক নেই বলেও অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় জাহিদ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, রাজু মন্ডল, অমল দাসসহ অনেক বলেন, সরকার টিকসই উন্নয়ন চাইলেও ঠিকাদার ও তদারকি কর্মকর্তার যোগসাজসে তা বাস্তবায়ণ হচ্ছে না। কালভাটের ফাঁটলের অংশ দেখে বলেন, এই কালভাট দিয়ে শুধু পানি নিষ্কাশনই হবে না, সাধারণের চলাচলের পাশাপাশি ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করবে। তারা কাজটি নিন্মমানের হওয়ায় কালভাটটি ঝুঁকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন।

এ বিষয়ে হলিহোফ এন্টারপ্রাইজ এর সত্তাধীকারী ঠিকাদার লস্কর বাবু কাজটি করছেন বলে জানিয়েছেন। তার রক্ষনাবেক্ষনকারী আয়নাল হক। নির্মানাধীন কালভাটটির তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পুঠিয়া জোন এর সহকারী প্রকৌশলী সেলিম রেজা।

এ বিষয়ে মুঠোফনে যোগাযোগ করা হলে কোন তথ্য না আগামী রোববার অফিসে দেখা করার জন্য বলেন। তবে ৩৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ণির্মানাধীন কালভাটটির ২০১৯-২০২০অর্থ বছরে শুরু হয়ে প্রায় শেষের পথে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ঠিকাদার লস্কর বাবুর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *