বস্তিবাসীর জীবনমানের আরও উন্নয়ন করতে চাই: বাদশা

রাজশাহী লীড

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী সদর আসনে ১৪ দল মনোনীত ও মহাজোট সমর্থিত প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা নগরীর বস্তিবাসীর জীবনমানের উন্নয়ন করতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, শহরের অন্যস্থানের মানুষ আর বস্তির মানুষের মধ্যে কোনো পার্থক্য রাখতে চাই না। এবার নির্বাচিত হলে বস্তিবাসীর জীবনমানের আরও বেশি উন্নয়ন করতে চাই।
মঙ্গলবার বিকালে রাজশাহী মহানগরীর জাহাজঘাট ঈদগাহ ময়দানে এক বিশাল নির্বাচনি জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাদশা বলেন, ভোট এলেই বিএনপি-জামায়াত-শিবির বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিথ্যা কথা বলে। তারা বলে, আমরা নির্বাচিত হলে নাকি বস্তি ভেঙে দিব। আমরা একটা বস্তিও ভাঙি না। বস্তির উন্নয়ন করি। তালাইমারী-বুলনপুরের বস্তি উন্নয়নের কাজ চলছে। এখন সেখানকার মানুষ বলছে, বিএনপি-জামায়াত মিথ্যাবাদী। ভোটের জন্য তারা মিথ্যা কথা বলে।

রাজশাহী সদর আসনের টানা দুইবারের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ২০০৮ সালের ভোটের সময় বিএনপি-জামায়াত বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলেছিল, আমরা নির্বাচিত হতে পারলে নাকি মসজিদের আযান শোনা যাবে না। এখন কি আযান শোনা যায়? উপস্থিত জনতা তখন চিৎকার দিয়ে বলেন, আরও বেশি শোনা যায়। তখন বাদশা জানতে চান, তাহলে কি বিএনপি-জামায়াত সত্য কথা বলে? উপস্থিত জনতা বলে, ভোটের জন্য তারা মিথ্যা কথা বলে।

বাদশা বলেন, নৌকা প্রতীক নিয়ে সিটি করপোরেশনের মেয়র হয়েছেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এবার আমি আবার নির্বাচিত হতে পারলে দুজনে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ ঘটবে। আমরা বস্তিবাসীর জন্য পাকা বাড়ি করে দিব। সুপেয় পানির ব্যবস্থা করবো। রাস্তাঘাট করবো। তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো। তাই সমস্ত বিভ্রান্তি ছেড়ে নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার জন্য আমি সবার প্রতি আহ্বান জানাই। কেননা, নৌকায় ভোট দিলেই দেশের উন্নয়ন হয়।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী পাঁচ বছরে আমি আর মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহীতে দুই লাখ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চাই। রাজশাহী রেশম কারখানাতেই ২ হাজার নারীর কাজের ব্যবস্থা হবে। রাজশাহী হাইটেক পার্কে প্রত্যক্ষভাবে কাজের সুযোগ পাবে ১৪ হাজার তরুণ-তরুণী। রাজশাহী হবে দেশের এক উন্নত এলাকা। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। নৌকায় ভোট দিলে আমরা সফল হবো।

বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে স্থানীয় জনতা ফজলে হোসেন বাদশার কাছে জাহাজঘাট ঈদগাহ ময়দানটি পাকা করে দেয়ার দাবি জানান। বাদশা বলেন, আমি নির্বাচিত হতে পারলে আপনারা পাকা মেঝেতে আগামী ঈদের নামাজ পড়বেন। তিনি বলেন, মতিহার থানা এলাকা নগরীর পিছিয়ে পড়া এলাকা। আমি এই এলাকায় থেকেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি। এ এলাকার প্রতি আমার ভালবাসা আছে। আমি এলাকাটিকে উন্নত করতে চাই। এ এলাকার তিনটি কলেজকে এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে চাই যে এখানকার শিক্ষার্থীদের শহরের ভেতরে পড়াশোনা করতে যেতে হবে না।

জনসভায় আরও বক্তব্য দেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা, মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি লিয়াকত আলী লিকু, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান বাদশা, নগর জাসদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, রাবি ছাত্রমৈত্রীর বাবুল আক্তার, মতিহার থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাজাহান আলী প্রমুখ।

থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আলাউদ্দিনের পরিচালনায় জনসভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, মুক্তিযোদ্ধা নওশাদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, শিক্ষক নেতা রাজকুমার সরকার, থানা ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক রমজান আলী প্রমুখ।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *