স্বদেশ বাণী ডেস্ক: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক চলাকালীন সেখান থেকে উঠে এসেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। সিইসি কে এম নূরুল হুদার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণের অভিযোগ এনেছেন তারা। ঐক্যফ্রন্ট নেতারা অভিযোগ করেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ‘আচরণ’ দেখে এবং অভিযোগ শুনতে অনীহার কারণে তারা সভা ত্যাগ করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে বিভিন্ন অভিযোগ জানাতে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিলেন। বৈঠক শুরুর দেড় ঘণ্টার মাথায় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা বৈঠক শেষ না করেই বের হয়ে হয়ে যান।
সভা থেকে বেরিয়ে এসে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সারা দেশে বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের হত্যা, আক্রমণ অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। পুলিশ বিরোধী দলের ওপর চড়াও হচ্ছে। বিষয়গুলো প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে জানিয়েছি। কিন্তু তার আচরণ দেখে মনে হয়েছে তিনি এতে গুরুত্ব দেননি। এসব বিষয়ে তিনি গুরুত্ব দেখাননি। এমন আচরণ করেছেন যেন আমরা মিথ্যা অভিযোগ করেছি। এ অবস্থায় আমরা সভা বর্জন করে সেখান থেকে উঠে এসেছি।
ঐক্যফ্রন্টের অপর নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, বৈঠককালে নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ড. কামাল হোসেন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়।
তিনি জানান, ড. কামাল হোসেন ‘পুলিশ লাঠিয়াল বাহিনীর মতো আচরণ করছে’ এমন মন্তব্য করলে তার প্রতিবাদ করেন সিইসি। তিনি ড. কামাল হোসেনের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকারের একটি বাহিনীকে নিয়ে তিনি এমন কথা বলতে পারেন না। এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই পরে সকলে বৈঠক থেকে বের হয়ে আসেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সিইসি কোনো ভদ্রতা সূচিত আচরণ করেননি। আমরা পুলিশের দ্বারা নির্যাতিত হওয়ার কথা জানালে তিনি কোনো সহানুভূতি না জানিয়েছে হঠাৎ করেই পুলিশের পক্ষেই অবস্থান নেন। তাই আমরা বৈঠক থেকে চলে এসেছি।
ড. কামল হোসেন বলেন, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের গুন্ডা বাহিনী আমাদের ওপর হামলা করছে। আমাদের প্রার্থীদের জীবনের দাম না থাকলেও কর্মীদের জীবনের দাম রয়েছে। তাদের তো সেভ করতে হবে।
এ সময় সিইসি ক্ষুব্ধ হয়ে ড. কামাল হোসেনকে বলেন, আপনি এমন কী হয়েছেন যে, পুলিশকে লাঠিয়াল-জানোয়ার বলেছেন। নিজেকে কী মনে করেন? তখন মঈন খান সিইসিকে বলেন, নির্বাচনের কোনো পরিবেশ যদি সৃষ্টি করতে না পারেন, তাহলে বলে দেন, আমরা আজকেই প্রেসক্লাবে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বর্জনের বিষয়ে ঘোষণা দেব।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস প্রমুখ।