নতুন মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়লেন যারা

বিশেষ সংবাদ লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় মেয়াদে যে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে, তাতে ডাক পেয়েছেন নতুন কয়েকজন। তবে অনেক হেভিওয়েট মন্ত্রীর এবারের নতুন মন্ত্রিসভায় ঠাঁই মেলেনি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম রোববার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

তারা হলেন- অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, পরিবেশ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, পানি সম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, খাদ্য মন্ত্রী কামরুল ইসলাম, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী শাহজাহান কামাল, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, শ্রম ও কর্মংস্থান মন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক, তথ্য প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, মেহের আফরোজ চুমকি, আরিফ খান জয়, কাজী কেরামত আলী, মীর্জা আজম, মশিউর রহমান রাংগা, লে. কর্নেল নজরুল ইসলাম হিরু, সায়েদুল হক।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য থাকতে পারেন ৪৬ জন। এর ২৪ জন পূর্ণ মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী।

৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে ২৯৮ আসনের মধ্যে ২৫৭টিতে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। জোটগতভাবে তারা পেয়েছে ২৮৮ আসন। অন্যদিকে তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি ও তাদের জোট পেয়েছে মাত্র সাতটি আসন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এমপিরা ছাড়া গত বৃহস্পতিবার নবনির্বাচিত এমপিরা শপথ নেন।

জয়ের পর টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট, টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন শেখ হাসিনা।

সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, মন্ত্রিসভায় একজন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন এবং প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্ধারণ করবেন, সেভাবে অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়ে থাকেন।

তবে মন্ত্রিসভার সদস্যদের সংখ্যার কমপক্ষে দশভাগের ৯ ভাগ সংসদ-সদস্যদের মধ্য থেকে নিয়োগ পাবেন। সর্বোচ্চ দশভাগের এক ভাগ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য ব্যক্তিদের মধ্য থেকে মন্ত্রিসভার সদস্য মনোনীত (টেকনোক্র্যাট) হতে পারবেন বলে সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর শপথ পড়াবেন। এরপর মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি। শপথের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দফতর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিলে তারাই হবে দেশের নতুন সরকার। শপথ নেয়া পর্যন্ত আগের মন্ত্রিসভা বহাল থাকবে। নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিলে আগের মন্ত্রিসভা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপির বর্জনের মধ্যেই দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচন হয়। ১২ জানুয়ারি গঠিত হয় নতুন মন্ত্রিসভা। তখন শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করে ৪৮ সদস্য বিশিষ্ট নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। ওই সরকারে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৯ জন মন্ত্রী, ১৭ প্রতিমন্ত্রী এবং দু’জন উপমন্ত্রী ছিলেন। পরে কয়েক দফা মন্ত্রিসভায় রদবদল আনা হলে শেষ পর্যন্ত মন্ত্রিসভার আকার দাঁড়ায় ৫২ সদস্যের। তবে নির্বাচনের আগে টেকনোক্র্যাট চারমন্ত্রীকে বাদ দেয়া হয়।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *