আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলির ঘটনায় ‘সরাসরি যুক্ত’ থাকার অভিযোগ উঠেছে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার একজন সদস্যের বিরুদ্ধে। অনুরাগ ঠাকুর নামের ওই রাজনীতিক নরেন্দ্র মোদি সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
এ ঘটনায় ইতোমধ্যেই তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ে করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
অনুরাগ ঠাকুরের উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণেই জামিয়ায় গুলি চালানো হয়েছে উল্লেখ করে শুক্রবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন যুব কংগ্রেসের সভাপতি বি ভি শ্রীনিবাস।
গত সোমবার এক সভায় অনুরাগ বলেন, দেশের সঙ্গে যারা গাদ্দারি করে তাদের গুলি করে মার। পরে ওই বক্তব্য নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়। এর দুই দিন পর দিল্লির জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএএ বিক্ষোভে গুলি চালায় উগ্র হিন্দুত্ববাদী এক বন্দুকধারী। এতে গুলিবিদ্ধ হন গণযোগাযোগ বিভাগের এক শিক্ষার্থী।
পরে আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য ওই মন্ত্রীকে ভোট প্রচারে ৭২ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটির নির্বাচন কমিশন। একই অভিযোগে বিজেপির আরেক নেতা প্রবেশ সিং ভার্মার প্রচারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
যুব কংগ্রেসের সভাপতি বি ভি শ্রীনিবাস বলেন, ‘ঘৃণ্য ওই বক্তব্যের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গুলি চালানোর ঘটনা গণতন্ত্রে একটি কালো দাগ।’
জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ওয়াসিম আহমেদও বৃহস্পতিবারের ঘটনার জন্য প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের বক্তব্যকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা রাজঘাটের দিকে যাচ্ছিলেন। আমরা তাদের বুঝিয়ে আটকানোর চেষ্টা করছিলাম।
প্রতিবাদ সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ছিল। তাহলে কেন ওই ব্যক্তি গুলি চালালো? ওই ঘটনার জন্য দায়ী অনুরাগ ঠাকুর ও কপিল মিশ্রের উসকানিমূলক বক্তব্য। তারাই মানুষকে উসকানি দেন, যার ফল ভুগছি আমরা। পুলিশ প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিক। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন।
স্ব.বা/শা