স্টাফ রিপোর্টার: বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীরা জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে পরিবারের সদস্যসহ হত্যা করেন। তারা জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেন। তারা মনে করেছিলো এতে দেশ পিছিয়ে যাবে।
কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কণ্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন দপ্তরের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে তিনি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। তিনি এ অধিদপ্তরের অনেক চাওয়া পাওয়া প‚রণ করেছেন। আধুনিক হিসেবে গড়ে উঠেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদর দপ্তরের অনুষ্ঠিত নবনিযুক্ত ফায়ারম্যানদের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এর পরিচালক ও যুগ্ম সচিব হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, অনেক অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি যুক্ত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস এখন শুধু আগুন নিভায় না। ভবনে আটকে পড়া লোক, সড়ক দুঘর্টনায় আহত ব্যক্তি, ডুবে যাওয়া ভিকটিমকে উদ্ধারসহ সমাজে সচেতনতার জন্য মহড়া পরিচালনা করেন। এছাড়াও বিড়াল, পাখিসহ বিভিন্ন আটকে পড়া পশুকেও উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
তিনি আরো বলেন, এটি একমাত্র বাহিনী যারা টাকার বিনিময়ে কোন কিছু করেন না। তারা মানুষের সেবায় কাজ করে যান। এ বাহিনীর কোন সদস্য কোন দিন বলেনা টাকা না দিলে আগুন নিভাতে যাবোনা।
তিনি নব নিযুক্ত ফায়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ধনি, গরীবের কোন বাছবিচার করেন না। তারা সবার বিপদে এগিয়ে যান। অগ্নিকান্ডের সময় যখন মানুষ তাদের জীবন বাঁচাতে তাদের সম্পদ ফেলে রেখে পালিয়ে যান তখন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদেও জীবন বাজি রেখে বিপদগ্রস্থা মানুষের সম্পদ রক্ষায় কাজ করে যান। মানুষের সেব করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। তাই ফায়ার সার্ভিসের চাকরি অনেক সন্মানের চাকরি। তাই এ সম্মান ধরে রাখতে হবে। কোনভাবেই সম্মান ভুলন্ঠিত করা যাবেনা। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে হবে। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কাজে লাগালে তা নিজের জীবন ও অন্যের জীবন বাঁচাতে সাহায্যে করবে। ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরে কোন প্রকার দ‚র্নীতি করা যাবেনা। যারা দ‚র্নীতি করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের সরাসরি চাকরিচ্যুত করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আব্দুর রশিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম। উপস্থিাত ছিলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বগুড়ার সহকারী পরিচালক আব্দুল হামিদ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স পাবনার সহকারী পরিচালক দুলাল মিয়া, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপ-সহকারী পরিচালক সাবের আলী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নাটোরের উপ-সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান, কোর্স কো অডিনেটর ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদর দপ্তরের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শহীদুল ইসলাম, স্টেশন অফিসার একেএম লতিফুর বারি। অনুষ্ঠান উপস্থাাপনা করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদর দপ্তরের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর আবু হাসেম ও সোহেল রানা। প্যারেড কমান্ডার ছিলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদর দপ্তরের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর মো: ফারুক। সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এর পরিচালক ও যুগ্ম সচিব হাবিবুর রহমান বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন করেন।
স্ব.বা/শা
