নাটোরে ডাকাতির ৫০ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার, নারীসহ গ্রেফতার ৩

রাজশাহী লীড

নাটোর প্রতিনিধিঃ নাটোরের নলডাঙ্গা বাজারের চার বস্ত্রালয়ে ডাকাতির ঘটনায় লুটের ৫০লক্ষ টাকার মালামাল সহ আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আজ শনিবার(৮ই ফেব্রুয়ারী) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। এর আগে গত ৫ই ফেব্রুয়ারী তাদের আটক করা হয়। ডাকাতির কথা স্বীকার করে তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেছে।

ডাকাত সদস্যরা হলেন, টাঙ্গাইল সদরের মহিষা গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে আব্বাস উদ্দিন(২৯), টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী থানার মালতি গ্রামের আজগর আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম(২৮) এবং সিরাজগঞ্জ সদরের বনবাড়িয়া গ্রামের বাছির ব্যাপারীর স্ত্রী নাছিমা বেগম(৩২)। তাদের বিরুদ্ধে ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, লক্ষীপুরসহ দেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতির মামলা রয়েছে।

তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে লুটের ১২৯৯টি শাড়ি, ৬৩১টি লুঙ্গি ও ৭২২টি থ্রি পিস উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার বলেন, গত ২২ জানুয়ারি রাতে নলডাঙ্গা বাজারে চারটি কাপড়ের দোকানে ডাকাতি সংঘটিত হয়। ডাকাতরা প্রথমে নৈশ প্রহরীদের হাত-পা বেঁধে মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে একটি ঘরে বন্ধ করে রাখে। পরে ওই চারটি দোকানের সিসিটিভি এবং এর হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে ৪ কাপড়ের দোকানের ৭০ লক্ষ টাকার মালামাল ট্রাকে করে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাতের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল দুই সপ্তাহব্যাপী ঘটনার তদন্ত করে। এরই এক পর্যায়ে নিয়োগকৃত বিশ্বস্ত গুপ্তচর ও আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে গত ৫ই ফেব্রুয়ারী বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার কড়ইহাট এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে নলডাঙ্গার ডাকাতির দুই সন্দেহভাজন ডাকাত আব্বাস ও আশরাফকে আটক করে পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা নলডাঙ্গার ডাকাতির কথা স্বীকার করে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে সিরাজগঞ্জ থেকে নাছিমা বেগম ও ঢাকা মহানগরীর শাহ আলী থানার শাহ আলি শপিং কমপ্লেক্সের বেনারসি শাড়ি হাউজ থেকে নলডাঙ্গার লুণ্ঠিত ১২৯৯টি শাড়ি, ৬৩১টি লুঙ্গি ও ৭২২টি থ্রি পিস সহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ সুপার আরও জানান, ডাকাতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত না থাকলেও নাছিমা বেগম ডাকাতির মালামালগুলো নিজ জিম্মায় রেখেছিলেন। গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার সাথে জড়িত আরো সাতজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকরামুল ইসলাম, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) মীর আসাদুজ্জামান, সহকারী পুলিশ সুপার বড়াইগ্রাম সার্কেল হারুন-অর-রশিদ, নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিক আহমেদ প্রমুখ।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *