স্টাফ রিপোর্টার: ৫টি ক্যাটাগরিতে রাজশাহী বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা পেয়েছেন পাঁচজন নারী। আজ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
জয়িতা সম্মাননা প্রাপ্ত নারী হলেন, অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে জয়িতা নির্বাচিত হন রাজশাহী মহানগরীর কাটাখালি থানার শ্যামপুর এলাকার তানিয়া আজাদ, শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য নগরীর মতিহার থানার মির্জাপুর এলাকার অধ্যাপক রাশেদা খালেক, সফল জননী ক্যাটাগরিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চামা গ্রামের হাসনে বানু, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করায় নওগাঁ সদরের কালুপাড়া এলাকার আদরী বানু ও সমাজ উন্নয়নে অসমান্য অবদান রাখায় নওগাঁ সদরের বাংগাবাড়ীয়া গ্রামের পারভীন আক্তার। অনুষ্ঠানে তাদের অর্থ পুরস্কার, সনদ ও ক্রেস্ট তুলে দেন। অন্যদের সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
জাতীয় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের উদ্যোগে ও রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে।
এতে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবির খন্দকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, কেবল তাই নয় শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র, কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল চালু করা হয়েছে। ১০ লাখ ৪০ হাজার নারীকে ভিজিডি কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে। ৭ লাখ ৭০ হাজার নারীকে মাতৃত্বকালীন ভাতা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিভিন্ন কার্যক্রমের ফলে ‘জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্স-২০১৯’ অনুযায়ী বিশ্বে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান ৫০তম, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে পঞ্চম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাজশাহীর মহিলা সাংসদ সদস্য আবিদা আনজুম মিতা, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তার, মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক পারভীন আক্তার, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক এ কে এম হাফিজ আক্তার ও রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক।
অনুষ্ঠানে জীবনযুদ্ধে জয়ী রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার প্রতিটি থেকে পাঁচজন করে মোট ৪০ জন নারীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়। এর মধ্যে থেকে ১০ জনকে মনোনীত করা হয়েছে। এই দশ জনের মধ্যে থেকে পাঁচ জনকে চূড়ান্তভাবে জয়িতা হিসেবে নির্বাচিত করা হয় এবং অন্য পাঁচজনকে রার্নাস আপ জয়িতা নির্বাচন করা হয়।
এছাড়া ৫টি ক্যাটাগরিতে বিভাগীয় পর্যায়ে জয়িতা হিসেবে রানার আপ হয়েছেন, অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জনকারী ক্যাটাগরিতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বেরুয়াদহ গ্রামের জীবন নাহার, শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারীতে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার দক্ষিণ আটকড়িয়া গ্রামের শামীমা আক্তার, সফল জননী হিসেবে রাজশাহীর জেলার চারঘাট পৌরসভার থানাপাড়া মহল্লার সালেহা বেগম, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ভেন্নাবাড়ি গ্রামের জরিনা খাতুন ও সমাজ উন্নয়নে অসমান্য অবদান রাখায় পাবনা সদরের রাধানগর গ্রামের নাজিরা পারভীন।
স্ব.বা/শা