বৈধতা প্রমাণ করার সুযোগ না থাকায় অবশেষে ফেরত দেওয়া হলো বিদ্যালয়ের গাছের কাঠ!

রাজশাহী লীড

বাঘা প্রতিনিধি :
বিদ্যালয়ের ফার্নিচার বানানোর আদলে প্রায় তিন মাস আগে কাটা হয়েছিল আনুমানিক দেড় লক্ষ টাকা মূল্যের ২টি মেহগিনি ও ১টি আকাশমনি গাছ। কাটা গাছগুলো রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চন্ডিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নিজস্ব জমির। গত ৫দিন আগে স্থানীয় ‘স’ মিলে ৩টি গাছের কাঠগুলো ফাড়াই করা হয়। এর মধ্যে মেহগিনি ২টি গাছের কাঠ বিদ্যালয়ের কমনরুমে রেখে অবশিষ্ট আকাশমনি গাছের ফাড়াই করা কাঠগুলো ভাগবাটোয়ারা করে বাড়িতে নেন, বিদ্যালয়ের প্রধান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি।

সোমবার (১৪-০১-১৯) অবৈধভাবে বিদ্যালয়ের কাঠ বাড়িতে রাখার গোপন খবর পেয়ে অনুসন্ধানকালে প্রথমত প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে বাড়িটি তালা বদ্ধ পাওযা যায়। বিদ্যালয়ে গিয়ে যোগাযোগ করলে গাছ কাটার সত্যতা স্বিকার করে প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন,রেজুলেশন করে প্রায় ৩মাস আগে গাছগুলো কাটা হয়েছে। কাঠ ফাড়াই করে বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। তবে কিছু কাঠ আমি ও সভাপতি বাড়িতে নিয়েছি। রেজুলেশনটি দেখতে চাইলে কিংবা কত তারিখে করা হয়েছে, এ বিষয়ে ঁজানতে চাইলে তা দেখাতে কিংবা তারিখ বলতেও রাজি হননি তিনি। বিদ্য্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও বাজুবাঘা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষক কয়েকটি কাঠ তার বাড়িতে পাঠিয়েছিল। পরে সেগুলো ফেরত দিয়েছেন।

এছাড়াও প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে রাখা কাঠগুলোও বিদ্যালয়ে ফেরত দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে কাঠের বৈধতা প্রমাণ করার সুযোগ না থাকায় সোমবার বিকেলে বিদ্যালয়ের দপ্তরির মাধ্যমে ভ্যানে করে কাঠগুলো বিদ্যালয়ে ফেরত দেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের দপ্তরি আরশাদ আলী এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *